শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি:এসএসসির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
02/12/2019
হীরক কর
কলকাতা, ২ ডিসেম্বর (হি.স): শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের সামনে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ । কোন পদ্ধতিতে অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেলেন, অথচ বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা বঞ্চিত রইলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তা ব্যাখ্যা করতে বলেছেন বিচারপতি ভরদ্বাজ ।
মামলাকারীদের দাবি, ২০১৬ সালে ১৬,০০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি । বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে নবম দশম ও একাদশ এবং দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন । মোট ৮ লক্ষ আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় বসেন । চতুর্থ পর্বের নিয়োগের আগে এসএলএসটি প্রার্থীদের চূড়ান্ত যোগ্যতা প্রমাণের পর পছন্দের স্কুল নির্ণয়ের সময়ে অর্থাৎ চতুর্থ কাউন্সিলিংয়ের সময় গরমিল ধরা পড়ে । দেখা যায়, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানে প্রায় ৪০ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে অনেক কম । শুধু তাই নয়, নিয়োগ তালিকার নিচের দিকে নাম থাকা সত্বেও ওই প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন । অনেক পরীক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু তাঁরা পাননি । এই অভিযোগ বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান এই চারটি বিষয়েই দেখা দিয়েছে ।
বিষয়টি নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলা কারীরা । অভিযোগ, এসএসসির তরফে কোনও সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে চলতি বছরে মামনি বসাক, স্বাগতা বিশ্বাস সহ ১৯ জন প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । সেই মামলারই শুনানি হল আজ । মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতকে জানান, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের চাকুরি থেকে বঞ্চিত করা হলো ? যাঁদের নিয়োগ হল তারা মামলাকারীদের থেকেও অনেক কম নম্বর পেয়েছেন । তার পরেও কী করে নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা ?’ পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেন তিনি ।
এই সওয়াল জবাবের পরে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্রকে বলেন, মামলাকারীরা যে অভিযোগ করেছেন সেই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য একটি রিপোর্টের আকারে আদালতের কাছে জমা দিতে হবে । আগামী ১৬ ডিসেম্বর কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে হবে ভরদ্বাজ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে । তারপরেই এই বিষয়ে ফের শুনানি হবে ।
-হিন্দুস্থান সমাচার