By HindusthanSamachar | Publish Date: Feb 11 2019 5:11PM
ঘাটাল, ১১ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : রবিবার গভীর রাতে ঘুমানোর সময় খড়ের চালায় আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হল তিন জনের। কাকতালীয় ভাবে বেঁচে যাওয়া অপর এক সদস্যকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। কিভাবে এই আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতেরা কৃষি শ্রমিকের কাজ করতো।
এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার অন্তর্গত কিসমত কোতলপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে এই গ্রামের বাসিন্দা বাপি পন্ডিতের চাষের জমিতে কাজ করার জন্য দুই আদিবাসী শ্রমিক এসেছিল। গণেশ মন্ডি ও তার স্ত্রী শ্রীমতী মান্ডি নামে ওই দুই শ্রমীক হুগলির গোঘাট থেকে এসে গ্রামের প্রান্তে খড়ের চালা বানিয়ে থাকতেন। থাকতে থাকতেই প্রতিবেশী স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ দাস এর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। পেশায় শ্রমিক সন্তোষ দাস ও তার স্ত্রী ও ওই মান্ডি দম্পতির বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। রবিবার রাতে সন্তোষ দাস ও তার স্ত্রী ওই আদিবাসী দম্পতির ঘরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। রাতে ওই আদিবাসীর শ্রমিক মান্ডি দম্পতির সঙ্গে চালার মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত বারোটা নাগাদ হঠাৎ গণেশ মান্ডি আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। তারা দেখতে পান গণেশদের খড়ের চালাটি দাউ দাউ করে আগুনে পুড়ছে। দ্রুত স্থানীয়রা সেই আগুন নিভিয়ে ভেতর থেকে প্রায় পুড়ে যাওয়া তিন জনকে উদ্ধার করে। যার মধ্যে একজন ছিলেন গণেশের স্ত্রী শ্রীমতী মান্ডি, অপর দুজন হলেন সন্তোষ দাস ও তার স্ত্রী। তাদের উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতে সেখানে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ। সকালে সেখানে হাজির হয়েছিলেন ঘাটালের এসডিপিও কল্যাণ সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। তদন্ত শুরু করে ঘটনার। এসডিপিও কল্যাণ সরকার বলেন "এই ঝুপড়িতে গণেশও ছিল, তা হলেও গণেশ কোনোভাবেই অগ্নিদগ্ধ হয়নি। অথচ বাকিরা সকলেই পুড়ে মারা গেল। এবিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সকলেই রাতে প্রচন্ড মদ্যপান করেছিল।প্রয়োজনীয় তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে গণেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।" হিন্দুস্থান সমাচার / হেনা