
কলকাতা, ১ নভেম্বর, (হি.স.): “স্বচ্ছ ভোটার তালিকা কোনো দলের দাবি নয়, এটা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। বাংলার মানুষ চায় একটাই— নির্ভুল তালিকা, সঠিক ভোট,আর প্রকৃত গণতন্ত্র”। শনিবার এক্স বার্তায় এই দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
তিনি জানিয়েছেন, “২০০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ছিল ৮.০২ কোটি। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০.৫৬ কোটি—মোট বৃদ্ধি ২.৫৪ কোটি (৩১.৭%)। কিন্তু ভোটার তালিকা বলছে অন্য গল্প ২০০২ সালে ভোটার ছিল প্রায় ৪.৫৮ কোটি, ২০২৫ সালে হয়েছে ৭.৬৪ কোটি—বৃদ্ধি ৩.০৬ কোটি (৬৭%)।
অর্থাৎ ভোটার–বৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়— জন্মহার কমছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রিত, এমনকি বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থী–তত্ত্বেও সংখ্যা মেলে না। কারণ, বাংলাদেশে ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯.২% সর্বশেষ ২০২২ সালের সেনসাস অনুযায়ী তা দাঁড়িয়েছে ৭.৯৫%। অর্থাৎ বাংলাদেশে গত ২০ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে।
ধরে নিলাম—এই কমে যাওয়া পুরো সংখ্যাটাই ভারতে এসেছে, তবুও এতো বাড়তি ভোটারকে ব্যাখ্যা করা যায় না। ভারতবর্ষের নিয়ম খুব পরিস্কার— নাগরিক হলেই ভোটার হওয়া যায়। নাগরিক বৃদ্ধির হার কমলে ভোটার তালিকা এমন দ্রুত বাড়ার কথা নয়।
তাহলে স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রশ্ন— এই অতিরিক্ত ভোটার এল কোথা থেকে? সাধারণ মানুষের অভিযোগ মৃত মানুষের নাম জীবিত রাখা, ডুপ্লিকেট নাম তোলা, বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম একাধিক ঠিকানায় যোগ করা।
যদি এগুলো সত্যও হয়— তাহলে এটা শুধু রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটা গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ জাল ভোট যখন সত্যিকারের ভোটকে ঢেকে দেয়, তখন মানুষের ভোটাধিকার আর গণতন্ত্র—দুটোই উপহাসে পরিণত হয়।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত