
কলকাতা, ১২ নভেম্বর, (হি.স.): তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা গ্রাম থেকে নাবালিকাদের নিয়ে এসে নিষিদ্ধ এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে।
রাজ্যে মহিলা পাচার এবং মহিলা অত্যাচার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে গিয়ে বুধবার এই অভিযোগ করলেন বিধায়ক এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল।
অগ্নিমিত্রা বলেন, মহিলা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে চারদিন আগে তৃণমূলের সংখ্যালঘু শাখার সম্পাদক আজমল সিদ্দিকীকে ইডি ধরেছে। ২০১৬ সালেও মহিলা পাচার কাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ২০২১ সালে তৃণমূল তাকে উচ্চপদে দায়িত্ব দেয়। আজমল সিদ্দিকী এবং তার দলবল গ্রাম থেকে নাবালিকাদের নিয়ে এসে, চাকরি দেবার নাম করে তাদের সাথে প্রতারণা করছে। শহরে নিয়ে গিয়ে নিষিদ্ধ এলাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে।
অগ্নিমিত্রা বলেন, আমাদের ভাবতেও লজ্জা লাগছে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তিনি বলেন বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়েই বাংলার গ্রামগঞ্জের গরীব মহিলাদের বোকা বানিয়ে তাদের সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। আর সেই কাজটা করছে তৃণমূলেরই সংখ্যালঘু শাখার সম্পাদক।
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, আমাদের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের উদাহরণ দেন। তিনি এবং তাঁর দলের মহিলা নেত্রীর দিক থেকে আমরা এখনও এ ব্যাপারে কোনও বিবৃতি পাইনি।
অগ্নিমিত্রা বলেন, শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী এই রাজ্যে গার্হস্থ্য হিংসা, অপহরণ, নাবালিকা মেয়েদের উপর অত্যাচার, কম বয়সে বিয়ে হয় যাওয়ার মত ঘটনা বেড়েই চলেছে। একটা ছোট্ট চার বছরের বাচ্চা মেয়েকে তারকেশ্বরে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।
তিনি বলেন, এর আগে রামপুরহাটে কমবয়সী আদিবাসী মেয়ের উপরে যৌন নির্যাতন করা হয়। এই ধরণের ঘৃন্য ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায়।
আমরা এতদিন বলতাম তৃণমূল মানে চোর। কিন্তু তৃণমূল যে মহিলা বিদ্বেষী, তৃণমূল যে মেয়েদের সম্মান দিতে জানে না, তা আবারও প্রমাণ হলো।
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, এই ১৫ বছরে মেয়েদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার কোনো চার্জশিট নেই, বিচার নেই, এফআইআর নেই। এই রাজ্যের পুলিশও নিষ্ক্রিয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় অপরাধী, ধর্ষক এদের পাশেই দাঁড়িয়ে এসেছেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত