
কলকাতা, ১২ নভেম্বর, (হি.স.): জাপানের ঐতিহ্যপূর্ণ ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে 'সাম্মানিক ডি.লিট.' উপাধি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি তাঁর চতুর্থ ‘সাম্মানিক ডি.লিট.' উপাধি।
সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সম্মান পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'জাপান একটি সুন্দর দেশ। আমরা আলাদা আলাদা দেশ হতে পারি। কিন্তু আমাদের হৃদয় এক।' আগামী বছর জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন বলেও জানালেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন যে, 'জাপান সবসময়েই মানুষদের ভালবাসে। সম্মান দেয়। ঐক্য, একতা নিয়ে কাজ করে। শিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রতি নজর দেয়। ভারতে আসার জন্য এবং এই সম্মান প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।'
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলার দুই বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের এই বিশ্ববিদ্যালয় একত্রিত হয়ে কাজ করছে। এই ব্যাপারে যে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন, তাও প্রকাশ করেছেন। এই একত্রিত হয়ে কাজ করার ফলে দু'দেশের ছাত্রছাত্রীদের উন্নতি হবে বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাপানের ভূয়সী প্রশংসা এদিন বারংবার শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জাপান খুব সুন্দর একটা দেশ। সুন্দর পাহাড় আছে। সুন্দর নদী আছে। সুন্দর জঙ্গল আছে। কী নেই ওখানে। আর আপনাদের স্বাস্থ্যও সবসময় খুব ভাল থাকে। কীভাবে আপনারা ধরে রাখেন এটা একটা শিক্ষণীয় বিষয়।
তবে দুঃখের গল্পও আছে জাপানে, তার কারণ বিশ্বযুদ্ধ। তবে আপনারা জাপানকে যেভাবে গড়ে তুলেছেন পরবর্তীতে, তা প্রশংসনীয়। আমাদের ছাত্রছাত্রীরাও জাপানে গিয়ে পড়াশোনা করতে ভালবাসে। গবেষণার জন্য সেখানে যায়।' মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এদিন বারবার উঠে এসেছে জাপান এবং ভারতের মধ্যে গড়ে ওঠা সুস্পর্কের কথা।
নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ডি’লিট দেওয়া হয়। বুধবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। এই সম্মান মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত