বৎসোয়ানায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে
নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর (হি.স.): অ্যাঙ্গোলা এবং বৎসোয়ানা সফরের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মঙ্গলবার বৎসোয়ানায় পৌঁছেছেন। এই প্রথম ভারতের কোনও রাষ্ট্রপতি সরকারি সফরে ওই দেশে গেলেন। রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী জলশক্তি ও রেল প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্না
বৎসোয়ানায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে


নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর (হি.স.): অ্যাঙ্গোলা এবং বৎসোয়ানা সফরের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মঙ্গলবার বৎসোয়ানায় পৌঁছেছেন। এই প্রথম ভারতের কোনও রাষ্ট্রপতি সরকারি সফরে ওই দেশে গেলেন। রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী জলশক্তি ও রেল প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্না এবং সাংসদ প্রভুভাই নাগরভাই বাসব ও ডি কে অরুণা।

বুধবারে গাবোরনে প্রেসিডেন্টের দফতরে রাষ্ট্রপতিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধান অ্যাডভোকেট ডুমা গিডিয়ন বোকো।

প্রেসিডেন্ট বোকো বলেন, ভারত গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি এবং বৎসোয়ানার বিকাশে অনুপ্রেরণা ও সহায়তার উৎস। শিক্ষা, লিঙ্গসাম্য এবং প্রান্তিক মানুষজনের কল্যাণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বোকো। গত বছর তিনি বৎসোয়ানার সর্বোচ্চ পদে আসীন হন এবং তার পর এই প্রথম ভিনদেশী কোনও রাষ্ট্রপ্রধান সরকারি সফরে সেখানে গেলেন। এর থেকেই স্পষ্ট, ভারত-বৎসোয়ানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব কতখানি।

একান্তে এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে দুই নেতা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতায়ন, প্রতিরক্ষা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন পরিসরে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ২০২৬-এ ভারত ও বৎসোয়ানার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৬০-তম বার্ষিকী। সেইজন্য, তার এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

বৎসোয়ানা এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারত-আফ্রিকা ফোরাম সামিটের আদর্শ অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোয় নতুন দিল্লির আগ্রহের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।

‘প্রকল্প চিতা’-র আওতায় পরবর্তী পর্যায়ে ভারতে চিতা ফেরানোর ক্ষেত্রে বৎসোয়ানা যেভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে তা অত্যন্ত আনন্দের বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। এই বিষয়টি ভারত সরকারের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ উদ্যোগের পালে হাওয়া লাগাবে বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।

বৎসোয়ানার নাগরিকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ভারতীয় ঔষধ সরবরাহ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় দুই নেতার উপস্থিতিতে। বৎসোয়ানা সরকারের অনুরোধে ভারত সেদেশে এআরভি ওষুধ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।

এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande