কাছাড়ের জয়পুরে আদিবাসী গ্রামে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত জনজাতীয় গৌরব বর্ষ পক্ষ ‘পাখওয়া’
– ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কাছাড় জেলা প্রশাসনের – রাজাবাজার ব্লকে বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতা কর্মসূচিতে আদিবাসী উন্নয়নের বার্তা শিলচর (অসম), ১২ নভেম্বর (হি.স.) : কাছাড় জেলাধীন রাজাবাজার উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত জয়পুর আদিবাসী গ্রামে জনজ
বক্তৃতানুষ্ঠানের এক মুহূর্ত


ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অৰ্পণ


বৃক্ষরোপণ কার্যসূচি


– ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কাছাড় জেলা প্রশাসনের

– রাজাবাজার ব্লকে বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতা কর্মসূচিতে আদিবাসী উন্নয়নের বার্তা

শিলচর (অসম), ১২ নভেম্বর (হি.স.) : কাছাড় জেলাধীন রাজাবাজার উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত জয়পুর আদিবাসী গ্রামে জনজাতীয় গৌরব বর্ষ পক্ষ ‘পাখওয়া’ উপলক্ষ্যে উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সমাজমুখী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান থেকে শুরু করে আর্থিক সাক্ষরতা শিবির পর্যন্ত। ভগবান বিরসা মুণ্ডার ঐতিহ্য ও সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক জনজাতি উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দিনের সূচনা হয় জয়পুর আদিবাসী গ্রামে এক পরিচ্ছন্নতা অভিযান দিয়ে, যেখানে গ্রামবাসী, সরকারি আধিকারিক এবং স্বেচ্ছাসেবীরা একত্রিত হয়ে পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষার বার্তা তুলে ধরেন। এর পর রাজাবাজার উন্নয়ন ব্লকের অধীনে আধি কর্মযোগী ও আধি সহযোগীদের দ্বারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

জয়পুর পার্ট-৪-এর শিবস্থান কমিউনিটি হল-এ মহান আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধার্ঘ্য অৰ্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার, বিভিন্ন দফতরের প্রধান, রাজাবাজার ব্লকের খণ্ড উন্নয়ন আধিকারিক, গ্ৰাম পঞ্চায়েত সভাপতি, এসটি মোর্চার সভাপতি এবং বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্ৰতিনিধিবৰ্গ। বক্তারা বিরসা মুণ্ডার অসাধারণ অবদান ও আদিবাসী সমাজের ন্যায়বিচারের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণ করেন।

এদিন অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিবস্থান, জয়পুরে অনুষ্ঠিত আর্থিক সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এর লক্ষ্য গ্রামীণ ও আদিবাসী পরিবারের মধ্যে আর্থিক জ্ঞান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা গড়ে তোলা।

লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার জনধন অ্যাকাউন্ট, ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ এবং নগদহীন লেনদেনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের নিরাপদ ও স্বচ্ছ ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা সম্পর্কে আলোচনা করে মৎস্যচাষকে একটি টেকসই জীবিকার পথ হিসেবে গ্রহণের আহ্বান জানান।

রাজাবাজার ব্লকের খণ্ড উন্নয়ন আধিকারিক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি যেমন দাজগুয়া, এমজিএনআরইজি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অনুদান, বার্ধক্য পেনশন এবং অরুণোদয় ৩.০ প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন এবং কীভাবে এগুলি গ্রহণ করা যায় তা অংশগ্রহণকারীদের জানান।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে মোট ২৬৬ জন অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলা, যুবসমাজ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। আন্তঃক্রিয়ামূলক এই সেশনগুলিতে তৃণমূল স্তরে সচেতনতা বাড়ানো এবং সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা প্রত্যেক যোগ্য পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় শিলচর থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর দিয়ে বলা হয়েছে, কাছাড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি ছিল আদিবাসী ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সমাজ-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে একত্রে এগিয়ে নেওয়ার এক অনন্য উদাহরণ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande