
কলকাতা, ১২ নভেম্বর, (হি.স.): ২০২২-এর ২৩ জুলাই সকালে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২৩-এর ১৩ এপ্রিল তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা হারানো নিয়ে বন্দী অবস্থায় মুখ খুললেও অভিষেক নিয়ে প্রশ্নে নীরব ছিলেন পার্থ বাবু। নগর দায়রা আদালতে হাজির তাঁর ওই দুই প্রতিক্রিয়া নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। ওই সময় আদালত চত্বরে পার্থবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘অভিষেক বলেছেন, যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনি কি বলবেন?’’ এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি পার্থবাবু।
তৃণমূলের অনেকেই জানেন, শুরুর দিকে পার্থের সঙ্গে অভিষেকের সুসম্পর্কই ছিল। সম্ভবত দলে নতুন দায়িত্ব পেয়ে সে কারণেই পার্থবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থের গ্রেফতারির পর তাঁকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তও হয় অভিষেকেরই নেতৃত্বাধীন বৈঠকে। এর পর আদালত চত্বরে বহু বার তৃণমূল নিয়ে কথা বললেও অভিষেককে কিছু বলতে শোনা যায়নি পার্থকে নিয়ে।
কিন্তু বুধবার তৃণমূলের আগামীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ‘অটোম্যাটিক চয়েস’ বলে মন্তব্য করেন পার্থবাবু। দাবি, অতীতে তিনি অভিষেকের পাশে থেকেছেন। দল বহিষ্কার করলেও তিনি নির্দল বিধায়ক হিসাবে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে প্রথম দিনেই যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে নির্দল বিধায়ক হিসাবে আসন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখতেও চেয়েছেন তিনি।
কারও নাম না-করে বুধবার পার্থবাবু বলেন, ‘‘এখন যাঁরা অভিষেকের পিছন পিছন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তারা সে দিন কেউ ওঁর পাশে দাঁড়়াননি। আমি দাঁড়িয়েছিলাম, আবার আমিই জেল খেটেছি।’’
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত