
কলকাতা, ১৪ নভেম্বর(হি.স.): “বিহারের এনডিএ–র জয় শুধু একটি নির্বাচনী ফল নয়—এটি পূর্ব ভারতের রাজনীতিতে আসন্ন বৃহৎ পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত।” শুক্রবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
তিনি লিখেছেন, “বিহারে মানুষ পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি আর ভাঁওতাবাজির রাজনীতিকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। উন্নয়ন, স্বচ্ছতা আর স্থিতিশীলতার পক্ষে যে অভূতপূর্ব জনসমর্থন তৈরি হয়েছে—তার ঢেউ এখন সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে বাংলায়।
বাংলার মানুষ বহু বছর ধরে চাকরি দুর্নীতি, কাটমানি, নিয়োগ চক্র, –কয়লা পাচার, তোলাবাজি আর প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার দংশন সহ্য করেছে। যুবকদের ভবিষ্যৎ আটকে গেছে আদালত আর কেলেঙ্কারির মাঝে। মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাধারণ পরিবার থেকে ছোট ব্যবসায়ী—প্রতিদিন যে অব্যবস্থা, অন্যায় আর ঝামেলা দেখতে হচ্ছে, তাতে একটাই জিনিস পরিষ্কার—তৃণমূলের উপর মানুষের আস্থা ভেঙে পড়েছে।
অন্যদিকে মোদী সরকারের উন্নয়ন এখন বাংলার ঘরে ঘরে চোখে দেখা বাস্তব।
উজ্জ্বলা–র গ্যাস, আবাস–এ নতুন ঘর, PM–JAY–এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, রেশন–এর নিশ্চয়তা, জন-ধন-যোজনা, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, হর-ঘর-জল, স্বচ্ছ ভারত মিশন, রেল–বন্দর–রাস্তার আধুনিকীকরণ—এই প্রকল্পগুলি মানুষের জীবনে যে বদল এনেছে, তা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
বাংলার যুবক, মহিলা, মধ্যবিত্ত ও প্রথমবার ভোটারদের বড় অংশ আজ বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন—কারণ উন্নয়ন তারা নিজের চোখে দেখেছেন। বিহারের জয় এ বার্তাই দিল—পূর্ব ভারতের পরবর্তী বড় রাজনৈতিক উত্থানের কেন্দ্র হবে পশ্চিমবঙ্গ।
যেখানে মানুষ পরিবর্তন শুধু চায় না—চাইছে এক নতুন দিশা, নতুন নেতৃত্ব, নতুন আস্থা।
বিহার দেখিয়ে দিল—দুর্নীতির রাজনীতি শেষ পর্যন্ত হেরে যায়। বাংলাও এবার ঠিক সেই পথেই হাঁটতে প্রস্তুত। পশ্চিমবঙ্গের আগামী অধ্যায়—উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও সুশাসনের।
বাংলা এবার নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই লিখবে—উন্নয়নকেই বেছে নিয়ে।
ছাব্বিশের ভোটে মানুষ জিতবে, তৃণমূল হারবে।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত