
পাটনা, ১৪ নভেম্বর (হি.স.): বিহারে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফলাফলের যা প্রবণতা তাতে প্রায় জয়ের পথে এনডিএ। এখনও পর্যন্ত বিজেপি জিতেছে ৫৫টি আসনে, এগিয়ে ৩৫টি আসনে। জেডিইউ ৩৩টিতে জয়ী, এগিয়ে ৫১টি আসনে, আরজেডি জয়ী ৮টি আসনে এবং ১৭টিতে এগিয়ে। এলজেপি (রামবিলাস) ৭টিতে জয়ী এবং ১২টি আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস ১টি আসনে জয়ী এবং ৫টিতে এগিয়ে। বিকেল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এআইএমআইএম ৪টিতে জয়ী এবং ১টিতে এগিয়ে এবং হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চা ১টিতে জয়ী এবং ৪টি আসনে এগিয়ে।
বিহারে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় গণনা। বিহারের ৩৮টি জেলার ৪৬টি গণনা কেন্দ্রে ভোটগণনা হয়। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিহারে এবার দুই দফায় যথাক্রমে ৬ ও ১১ নভেম্বর দুই পর্যায়ে হয় ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে, বিহারে ১৯৫১ সালের পর সর্বোচ্চ ৬৭.১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিহার বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে জিততে প্রয়োজন ১২২টি আসন। গত ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৫.০৮ শতাংশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনেও ব্যাপক ভোট পড়ে।
বিহারে জয় নিশ্চিত হতেই সমাজমাধ্যমে পোস্টে বিহারবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘সুশাসন, বিকাশ, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে।’ বিহারে শাসকজোটের এই সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। মোদী লেখেন, ‘মানুষের এই রায় সাধারণ জনতার সেবা করার এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্পে কাজ করার শক্তি দেবে আমাদের।’ নীতীশ কুমার, চিরাগ পাসওয়ান, জিতনরাম মাঝি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহাদের মতো এনডিএ-র শরিক নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। একই সঙ্গে ওই পোস্টে বিহারের জন্য এনডিএ-র আগামীর রূপরেখারও আভাস দেন তিনি। মোদী লেখেন, ‘আগামী বছরগুলিতে আমরা বিহারের বিকাশ, পরিকাঠামোগত উন্নত এবং বিহারের সংস্কৃতিকে একটি নতুন পরিচয় দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাব।’ বিহারের তরুণ প্রজন্ম এবং মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্যও নতুন সরকার কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
একে একে প্রকাশ্যে আসছে চূড়ান্ত ফল! আরও চওড়া নীতীশ-বিজেপি জোটের হাসি, ক্রমে ফ্যাকাশে হচ্ছে ‘মহাগঠবন্ধন’। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ জানালেন, এনডিএ সরকার নিষ্ঠার সঙ্গে সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। অমিত শাহ এক্স মাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি বিহারের জনগণকে, বিশেষ করে আমাদের মা ও বোনদের আশ্বস্ত করছি, মোদীজির নেতৃত্বে আপনারা যে আশা ও বিশ্বাস নিয়ে এনডিএকে এই জনাদেশ দিয়েছেন, সেই আশা ও বিশ্বাসের সঙ্গে এনডিএ সরকার আরও বেশি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পূরণ করবে। অমিত শাহ আরও জানান, বিহারের জনগণের প্রতিটি ভোট ভারতের নিরাপত্তা ও সম্পদ নিয়ে খেলাকারী অনুপ্রবেশকারীদের এবং তাদের সহানুভূতিশীলদের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের নীতির প্রতি বিশ্বাসের প্রতীক। ভোট ব্যাংকের জন্য যারা অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করে তাদের জনগণ উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। বিহারের জনগণ সমগ্র দেশের মনোভাব প্রকাশ করেছে যে, ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ বাধ্যতামূলক এবং এর বিরুদ্ধে রাজনীতির কোনও স্থান নেই। এই কারণেই, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে, কংগ্রেস দল এখন বিহারে শেষ অবস্থানে পৌঁছেছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এনডিএ-র এই জয়ের জন্য বিহারের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিরোধী জোটকে তীব্র নিশানা করে নাড্ডা বলেন, বিহারের জনগণ বিরোধী জোটের জঙ্গলরাজ এবং দুর্নীতিকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে জেপি নাড্ডা লিখেছেন, বিহারে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) যে ঐতিহাসিক জনসমর্থন পেয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনা এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নমুখী এবং জনকল্যাণমূলক নীতির প্রতি জনগণের বিশ্বাসের প্রমাণ। এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে যে বিহারের জনগণ বিরোধী মহাজোটের জঙ্গলরাজ এবং দুর্নীতিকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এনডিএ-র সুশাসন, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে গ্রহণ করেছে।
বিহারে জনগণ যেভাবে এনডিএ-কে সমর্থন করেছে, তা ঐতিহাসিক। বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নীতিন গড়করি। শুক্রবার নীতিন বলেন, বিহারের জনগণ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নের প্রতি তাদের সমর্থন দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে যে কাজ হয়েছে তা সফল হয়েছে, এবং জনগণ আমাদের বিজয়ী করেছে। এর জন্য আমি বিহারের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। উল্লেখ্য, বিহারে এনডিএ-র বিরাট জয় শুধু ঘোষণার অপেক্ষা! একক ভাবে সকলের আগে বিজেপি, শোচনীয় অবস্থা বিরোধীদের।
বিহারে ভোটের প্রবণতা বলছে, জয়ের দিকে এনডিএ। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন জায়গায় দলের সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের নামে পোস্টার পড়েছে। সেখানে লেখা, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। পাশাপাশি, তাঁর বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন সমর্থকরা। পাটনায় জেডি (ইউ) অফিসের বাইরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। শুক্রবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল, নীতীশ ফিনিশ নন, বরং ফিনিক্স। তাঁর দল বিহারে শুধু ফিরছেই না, রীতিমতো হইহই করে ফিরছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনের বাইরে একটি পোস্টার সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরের পোস্টারে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, বিহার মানে নীতীশ কুমার। এদিন সকালে লাগানো এই পোস্টারটি দেখে মনে হচ্ছে নীতীশ ফিনিশ নন, বরং ফিনিক্স। এই পোস্টারটি ফিল্মি স্টাইলে ডিজাইন করা, স্পষ্টভাবে ক্ষমতা এবং প্রভাবের বার্তা বহন করে। এদিকে এদিন ভোটের ফলাফল চূড়ান্ত হওয়ার আগেই পাটনার জেডিইউ দফতরের সামনে পোস্টার দেখা গিয়েছে, তাতে নীতীশ কুমারকে একটি বাঘের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং তাতে মোটা অক্ষরে লেখা, ‘টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়।’ পোস্টারটির সঙ্গে এদিন পথচারীরা তাদের গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নীতীশ কুমার। অনেকেই এবারের নির্বাচনের আগে বলতে শুরু করেছিলেন যে, এটাই হয়তো নীতীশের শেষ নির্বাচন। তাঁর স্বাস্থ্য ঘিরে নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে ৭৪ বছরে এসেও নীতীশ কুমার বুঝিয়ে দিলেন, “টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়”।
বিহারে মহাজোটের পরাজয় যখন নিশ্চিত, এমন সময়ে নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালো কংগ্রেস। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, বিহারের ভোট জ্ঞানেশ ও দেশের জনগণের মধ্যে ছিল। পবন খেরা শুক্রবার বিহারে ভোটের ফল ঘোষণার দিন বলেন, আমি যেমন বলেছি, প্রাথমিক প্রবণতাগুলি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, জ্ঞানেশ কুমার বিহারের জনগণের বিরুদ্ধে।।তিনি সফল হচ্ছেন। এই লড়াই বিজেপি, কংগ্রেস, আরজেডি এবং জেডিইউর মধ্যে নয়। এটি জ্ঞানেশ কুমার এবং ভারতের জনগণের মধ্যে সরাসরি লড়াই।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী একাধিকবার অভিযোগ করেছেন ভোট চুরি নিয়ে। বিহারের প্রাথমিক ফল এনডিএ-র পক্ষে যেতে শুরু করতেই রাহুলের সেই মন্তব্যকে নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তিনি বলেন, নিজের ব্যর্থতা লুকনোর জন্য তিনি (রাহুল গান্ধী) ভোট চুরির কথা বলতে থাকেন। কিন্তু আজ বিহারের প্রতিটি শিশু এদের যথাযথ জবাব দিচ্ছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, এই জয় প্রত্যাশিত ছিল। যেদিন মহাগঠবন্ধন 'শাহাবুদ্দিন অমর রহে' বলেছিল, সেদিনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে বিহারের মানুষ আর শাহাবুদ্দিনকে সমর্থন করবে না। যেদিন রাহুল গান্ধী ছট মাতার পূজাকে 'নাটক' বলেছিলেন, এটা শুনে কি আর বিহারের মানুষ অন্য কোনও বিকল্প বেছে নিতে পারে?
বিহারে ফের প্রত্যাবর্তন হচ্ছে এনডিএ-র। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ রাই বলেন, বিহারে জনগণ উন্নয়ন চান, তা বুঝিয়ে দিলেন। শুক্রবার পাটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিত্যানন্দ রাই বলেন, বিহারের জনগণ এনডিএ-কে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। আমি রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। নিত্যানন্দ রাই আরও বলেন, মানুষ দেখিয়ে দিল, তারা রাজ্যের উন্নয়ন চায়। বিহারের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তাদের আস্থা দেখিয়েছে। আজ প্রমাণিত হয়েছে যে বিহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হৃদয়ে থাকে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের হৃদয়ে থাকেন।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিহারের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী। প্রত্যেকেরই ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কাকে ভোট দেবেন তা সম্পূর্ণরূপে ভোটারের উপর নির্ভর করে। এই ক্ষেত্রে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের জন্য একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। তেমন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে বিহার। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাতসকালেই বিহারে জাদুসংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছিল এনডিএ। এই নিয়ে রামদাস আঠাওয়ালে বলেছেন, বিহারে আমরা ঠিক এই প্রবণতাই আশা করেছিলাম। জনগণ উন্নয়নকে সমর্থন করছে। এর অনেকটাই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। নীতীশ কুমার ২০ বছর ধরে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মানুষ দেখেছেন যে লালু প্রসাদ যাদবের শাসনকালে 'জঙ্গল রাজ' ছিল, রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ ছিল এবং আরও অনেক সমস্যা ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিহারের জন্য একটি নতুন উন্নয়ন প্যাকেজ চালু করেছেন... ভারতীয় জনতা পার্টি এনডিএ-তে বৃহত্তম দল, তার পরে জেডি(ইউ), তারাও ভাল আসন পেয়েছে। চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন দলটিও ভালো ফল করেছে। আমার মনে হয় এটি একটি বিরাট সাফল্য। ২৪৩টি আসনের মধ্যে, আমরা কমপক্ষে ১৯৫টি আসন পেতে পারি। বর্তমানে আমরা ১৮৭টি আসনে এগিয়ে আছি, এবং আরও ৮-১০টি আসন লাভের করে আমরা এই সংখ্য অতিক্রম করবো। আমি বিশ্বাস করি জনগণ ভেবেচিন্তে ভোট দিয়েছেন। এটি উন্নয়নের পক্ষে ভোট ছিল।
বিহারে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে, মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমার। বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার প্রধান জিতন রাম মাঝি। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলছি, বিহারে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতবে এনডিএ এবং মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমার।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি কংগ্রেসের, একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, আমি বলব যে এই ধরণের ক্ষেত্রে, আমাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের দিকে নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। শশী বলেন, আচরণবিধি জারির ঠিক আগে মহিলা ভোটারদের অবশ্যই কিছু ইনসেন্টিভ দেওয়া হয়েছিল। আমাদের পছন্দ হোক বা না হোক, দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের আইন অনুযায়ী এটা বৈধ। আমি মনে করি না এটি একটি সুস্থ অনুশীলন, কিন্তু অতীতে আমরা মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনুরূপ এমন কিছু দেখেছি। যাই হোক, আসুন ফলাফলগুলি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করি।
বিহারের ফলাফল নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেন কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর কথায়, এই ফলাফল হতাশাজনক, এতে কোন সন্দেহ নেই। শুক্রবার জয়পুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অশোক গেহলট বলেন, সেখানে আমি যে ধরণের পরিবেশ দেখেছি - মহিলাদের প্রত্যেককে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল; নির্বাচনী প্রচার চলাকালীনও তা দেওয়া হচ্ছিল। নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। কেন এটা বন্ধ করেনি? এটা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। এর মানে হল রাহুল গান্ধী ভোট চুরির জন্য যা বলেছিলেন, এটাই ভোট চুরি। গেহলট বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তারা শাসক দলের সঙ্গে যোগসাজশ করছে। আজকাল অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে প্রার্থীদের কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস এবং আরজেডির কাছে টাকা নেই। তাই, গণতন্ত্রের উপর ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন জেতা এক জিনিস, এনডিএ জিতবে এবং সরকার গঠন করবে। মোদীজি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে কংগ্রেসের আদর্শই দেশের স্বার্থে। দেশের কংগ্রেসকে প্রয়োজন। তারা (এনডিএ) নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছে।
হিন্দুস্থান সমাচার/ মৌমিতা/ সোনালি/ সৌম্যজিৎ
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ