
কলকাতা, ১৪ নভেম্বর (হি.স.): প্রায় পনেরো বছরের সম্পর্ক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘দিদি নং ১’-এর। এই যাত্রার প্রথম সঞ্চালকও তিনিই। মাঝেমধ্যে সঞ্চালকের বদল ঘটলেও, শেষ পর্যন্ত রচনা হয়ে উঠেছেন শোয়ের ধ্রুবতারা। হঠাৎ প্রোমোতে এই শো-এর সঞ্চালকের ভূমিকায় মীরকে দেখে দর্শকদের চোখ কপালে।
রচনার উপস্থিতি মানেই এক আলাদা উজ্জ্বলতা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন বড়— সঞ্চালনা হঠাৎ থামল কেন? রচনাকে ছাড়া ‘দিদি নং ১’ যেন আদতে অপূর্ণ। তবু কী এমন ঘটল যে হঠাৎ এসে পড়লেন মীর? কৌতূহলে সরগরম টলিপাড়া থেকে সাধারণ দর্শক—সবার একটাই প্রশ্ন, এই বদল কি সাময়িক, নাকি নতুন অধ্যায়ের শুরু? অবশেষে মুখ খুললেন শোয়ের পরিচালক অভিজিৎ সেন।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, “রচনা ফিরবে। তবে কয়েকটি বিশেষ এপিসোডে মীর দায়িত্ব নেবেন। মীরের সঞ্চালনা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। চ্যানেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বছরের পর বছর—ওর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।”
অভিজিৎবাবু আরও বলেন, ‘আর সেই আস্থার প্রতি মীরও যে বারবারই সাড়া দিয়েছেন, তাও অস্বীকার করার নয়।’ কিন্তু ‘দিদি নং ১’ তো মূলত দিদিদের গল্পে বোনা অনুষ্ঠান। তাই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন—রচনার জায়গায় অন্য কোনও অভিনেত্রীকে ভাবা হয়নি কেন?
পরিচালক বলেন, ‘রচনাদিও মীরের কথাই বলেছিলেন। তাছাড়া চ্যানেলের সিদ্ধান্তেই মীরকে ভাবা হয়েছে।’
তবে রচনা শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি হুগলির সাংসদও। রাজনীতির ব্যস্ততা কি বাড়ল? এই কারণেই কি সাময়িক বিরতি? প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। অভিজিৎবাবু অবশ্য পরিষ্কার ভাষায় জানালেন, ‘দিদি ব্যক্তিগত কাজে একটু ব্যস্ত। নির্দিষ্ট সময়ে আবার ফিরবেন তিনি।’
তাহলে কি এই রদবদল কেবল ক্ষণিকের? নাকি নতুন স্বাদ, নতুন পরীক্ষা, নতুন প্রেক্ষাপট? দর্শক অপেক্ষায়—রচনার ফেরার সেই চেনা হাসি কি আবার আলো করে দেবে ‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চ? নাকি এই সাময়িক বদলই ভবিষ্যতের অন্য কোনও ইঙ্গিত? উত্তরটা যেন এখনও পর্দার আড়ালেই।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত