শিলং, ২৫ নভেম্বর (হি.স.) : মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সহ রাজ্যের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর সংকটে পড়েছে সোনিয়ার দল। তাই বিপর্যস্ত পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়ে সংকট মোচনে আজকালের মধ্যে শিলং আসছেন মেঘালয় কংগ্রেসের ইনচার্জ কেন্দ্রীয় নেতা মণীশ সতরথ। এখানে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালা সহ দলের অন্য নেতৃবর্গের সঙ্গে বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করবেন, জানা গেছে দলীয় সূ্ত্রে।
গতকাল বেলা একটা নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সহ আরও কয়েকজন বিধায়ককে পাশে বসিয়ে দলীয় (কংগ্রেস) বিধায়ক জেনিথ সাংমা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন, বুধবার রাতে কংগ্রসের ১২ জন বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। মেঘালয় বিধানসভায় ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ১২ জন দল ছাড়ায় এবার বিধানসভায় পাঁচ বিধায়ক অবশিষ্ট রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আরও কয়েকজন শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন জেনিথ সাংমা।
রাজ্য বিধনসভায় এত বড় সংখ্যায় দলত্যাগ করায় সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস। ফলে এবার প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলই স্বীকৃতি পেতে পারে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতা ছিলেন কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা। এছাড়া ২০০৩ থেকে দুবার উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং দুবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-জোটশরিক কনরাড কে সাংমার এনপিপি দলের কাছে পরাস্ত হয়ে বিরোধী আসনে বসতে হয়েছিল মুকুলকে।
মূলত শিলঙের সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালাকে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করার পর থেকে সাংমা দলত্যাগ করতে পারেন বলে সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, এ নিয়ে বিস্তর জল্পনাও চলছিল রাজ্যে। গত কয়েকদিন ধরে একটি খবর চাউর হয়েছিল, মুকুল সাংমা শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মোড় নিয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ / অরবিন্দ