শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লিতে কলোনি উচ্ছেদ না করার আর্জি জানিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার
শান্তিনিকেতন, ৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লিতে কলোনি উচ্ছেদ না করার আর্জি জানিয়
শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লিতে কলোনি উচ্ছেদ না করার আর্জি জানিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার


শান্তিনিকেতন, ৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লিতে কলোনি উচ্ছেদ না করার আর্জি জানিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের উপস্থিতি তে যৌথভাবে পরিদর্শন করেন কলোনি এলাকা।

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই বিশ্বভারতীর জায়গায় বালিপাড়া, পিয়ার্সনপল্লি নামে দু'টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম গঠন করেন ৷ এছাড়াও, শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্রপল্লি এলাকায় খাসপাড়া নামক একটি কলোনি প্রায় ৩০ বছর ধরে গড়ে উঠে ৷ বর্তমানে ওই কলোনি তে ৫২ টি পরিবারের বাস ৷যেহেতু ওই জায়গাটা বিশ্বভারতীর তাই কলোনির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করার জন্য রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,বর্তমানে ওই কলোনি 'প্রদীপ তরফদার কলোনি' নামে রাজ্য সরকারের খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে ৷ ওই কলোনির বাসিন্দা দের অভিযোগ, যেহেতু কলোনি জায়গা বিশ্বভারতীর, তাই তারা সরকারি পরিষেবা পান না ৷ এলাকায় আবাস যোজনার বাড়ি কিংবা সুলভ শৌচালয় নির্মাণ করার এক্তিয়ার নেই রাজ্য সরকারের ।কলোনি বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয়। এই কলোনি যাতে উচ্ছেদ না করা হয় তার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার । সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা ও জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা ওই কলোনিতে যান ৷ জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, "এই জমিটি বিশ্বভারতী । কিন্তু এখানে বহুদিন ধরে অনেকগুলি পরিবারের বাস ৷ তাই আমাদের আবেদন কলোনিটি থাকুক ৷ আমরা আজ দেখলাম ঘুরে ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিশ্বভারতীকে আবারও আমরা জানাব । আমরা চাই কলোনির মানুষগুলো সরকারি পরিষেবা পাক ।" পাশাপাশি রাজ্য সরকার ওই কলোনি নিয়ে কী চাইছে তা বিশ্বভারতীর কর্মসচিবকে জানাতে বলেন বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা । হিন্দুস্থান সমাচার / হেমাভ


 rajesh pande