গোপীবল্লভপুরে খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে তান্ডব চালাচ্ছে
ঝাড়গ্রাম, ১৪ সেপ্টেম্বর ( হি. স.) : খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে বাড়ি ঘর ভাঙ্গলো দলমার দাঁতালেরা। পা

ঝাড়গ্রাম, ১৪ সেপ্টেম্বর ( হি. স.) : খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে বাড়ি ঘর ভাঙ্গলো দলমার দাঁতালেরা। পাশাপাশি জমির ধান খেয়ে সাবাড় করছে হাতির দল। মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের পূর্ণাপানি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত কয়েকদিন ধরে গোপীবল্লভপুর রেঞ্জের কমলাশোল বীটের বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে দলমার দাঁতালেরা। সদ্য লাগানো চারা ধানের গাছ গুলি খেয়ে, পায়ে মাড়িয়ে তছনছ করছে হাতির দল। বর্তমানে দলমা হাতির দলটি কমলাশোল রেঞ্জ এলাকায় অবস্থান করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত শনিবার ২৫ টি হাতির একটি দল ওড়িশা সীমান্তের দিক থেকে সারিয়া, পন্ডাছেচার দিক থেকে গোপীবল্লভপুর রেঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করেছে। অভিযোগ গোপীবল্লভপুর রেঞ্জের কমলাশোল বীটের জঙ্গল লাগুয়া গ্রাম গুলিতে তান্ডব চালিয়ে চালিয়ে বিঘার পর বিঘা জমির চারা ধান নষ্ট করেছে হাতির দলটি। সদ্য লাগানো চারা ধান গাছ গুলি নষ্ট করাই মাথা হাত পড়েছে কৃষকদের। বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই হাতির দলটিতে প্রায় ২৫ টি হাতি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বনদফতরকে বারে বারে খবর দেওয়া হলেও হাতি তাড়ানোর কোনো রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বনকর্মীরা। তাই বনদফতরের উদাসিনতার জেরেই হাতির হানায় প্রাণহানি, আহত ও ফসল নষ্টের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য জঙ্গলমহলের ঝাড়্গ্রাম জেলায় সারা বছর ধরে হাতির তান্ডব লেগে রয়েছে। যার ফলে প্রত্যেক বছর শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষার ধান, আলু সহ অন্যান্য সবজি চাষে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে দলমার দাঁতালেরা। তার পাশাপাশি অনেক সময় হাতির সামনে পড়ে মৃত্যু, আহতের ঘটনা প্রায় দিন গেলে রয়েছে জঙ্গলমহলে। এদিকে বনদফতরের দাবি হাতি গুলিকে এক রুট দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হলেও অন্য রুট ধরে আবার পুনরায় হাতি গুলি বারে বারে ফিরে আসে। বনদফতরের একটি সুত্র থেকে জানা গিয়েছে গত কয়েক বছরে জঙ্গলমলের ঝাড়্গ্রাম, খড়্গপুর ও মেদিনীপুর বনবিভাগের বেশির ভাগ জঙ্গল আগের থেকে অনেক ঘন এবং ঝোপঝাড় যুক্ত হওয়ায় হাতির খাবার এবং বসবাসের বেশ উপযোগী হয়ে উঠেছে। যার ফলে হাতির দল গুলিকে ওড়িশার দিকে তাড়ানো হলেও ফিরে আসে। বনদফতর জানিয়েছে যেসব কৃষকদের ফসল, ধান জমি নষ্ট করেছে তারা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টাকা পাবেন।হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ


 rajesh pande