বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিং
কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি.স) : ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের ১৩০তম বর্ষে একমাত্র স্থানীয় দল হিসাবে শেষ চা
বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে মহমেডান স্পোর্টিং


কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি.স) : ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের ১৩০তম বর্ষে একমাত্র স্থানীয় দল হিসাবে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং। কোয়ার্টার ফাইনালে ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম এফসিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ফুটছিলেন মার্কাস জোসেফরা। অন্যদিকে গ্রুপ লিগের একটিও ম্যাচ না হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড। শেষ আটের প্রতিপক্ষ আর্মি রেড দলের এক ফুটবলার করোনা সংক্রমিত হলে বাই পেয়ে যায় আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন খেলা দলটি। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের কাছে ০-২ গোলে হারতে হয়েছিল মহমেডানকে। সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন জোসেফরা। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছেন চেরনিশভের ছেলেরা।

সল্টলেক স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তাদের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার পেদ্রো মানজি। একসময় মহমেডানের হয়েই খেলতেন উরুগুয়ান বংশোদ্ভূত স্ট্রাইকার। ঘরের মাঠে জনসমর্থনে উজ্জীবিত মহমেডান ফুটবলাররা তীব্র চাপ তৈরি করেছিলেন বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের অর্ধে। সুফল মেলে ৮ মিনিটের মাথায়। দুরন্ত গোল করে কলকাতার ক্লাবটিকে সমতায় ফেরান মার্কাস জোসেফ। এরপর দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করলেও মহমেডানের দাপট ছিল স্পষ্ট। ৩২ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতেই দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা। তবে পেদ্রো মানজির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় স্কোরলাইন পরিবর্তন হয়নি। ৩৫ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষ বক্সের সামনে ফ্রিকিক পেয়েছিল মহমেডান। সরাসরি গোল লক্ষ্য করে মারা নিকোলা স্তোজানোভিচের ফ্রিকিকটি অনেকটা বাইরে দিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয় গোলের জন্যে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি চেরনিশভের ছেলেদের। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই মার্কাস জোসেফের অ্যাসিস্ট থেকে দুরন্ত গোল করে মহমেডানকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ফয়জল। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া পেনাল্টি থেকে মহমেডানের পক্ষে ব্যবধান বাড়িয়ে ৪-২ করেন নিকোলা। এরপর আর দশজনের বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের ম্যাচে সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল শেষ হয় ৪-২ ব্যবধানে।

হিন্দুস্থান সমাচার /সঞ্জয়


 rajesh pande