রায়গঞ্জে গুলিকান্ডে ধৃত ১ মহিলা, অধরা পাঁচ অভিযুক্ত
কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : রায়গঞ্জের দেবীনগরে গুলিকান্ডের পর গোটা রাত ও সকাল পার হয়ে গেলেও পা
রায়গঞ্জে গুলিকান্ডে ধৃত ১ মহিলা, অধরা পাঁচ অভিযুক্ত


কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : রায়গঞ্জের দেবীনগরে গুলিকান্ডের পর গোটা রাত ও সকাল পার হয়ে গেলেও পাঁচ অভিযুক্ত অধরা। তবে, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে রায়গঞ্জ থানা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দুই বিএসএফ কর্মী। তদন্তে নেমে তাদের চিহ্নিত করেছে রায়গঞ্জ পুলিশ। এছাড়া আরও তিনজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

তবে মূল ৫ অভিযুক্তর প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে ফেরার। সোমবার রাতে শহরের মাঝে রাস্তায় গুলিকান্ডর ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এর কিনারা করতে তৎপর পুলিশ। যাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তার নাম জয়শ্রী দাস। গুলিতে জখম দু’ জনের মধ্যে এক মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায়, তাঁকে রায়গঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সোমবার সন্ধে নাগাদ রায়গঞ্জের জনবহুল দেবীনগর বাজারে প্রকাশ্যে গুলিকান্ড হয়। পুলিশকর্মী সুজয়কৃষ্ণ মজুমদারকে তাঁর বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে গুলি চালায় জনাকয় দুষ্কৃতী। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন দুই বোনও। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সুজয় এবং তাঁর ছোটবোনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কী কারণে এমন ঘটনা, তার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি সূত্র আসে পুলিশের হাতে। ঘটনায় জড়িত দুই বিএসএফ কর্মী-সহ ৫ জন। তাদের মধ্যে একজনের নাম শীতল রায়। মূলচক্রী এই শীতলই। এই মুহূর্তে সে ফেরার। বাড়িতে তালাবন্ধ। পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্তের স্বার্থে বাড়িটি সিল করে দিয়েছে বলে খবর। পুলিশকর্মী সুজয়ের বাবা নিখিলকৃষ্ণ মজুমদারও ছিলেন পুলিশ আধিকারিক। তাঁর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনও গন্ডগোল ছিল অভিযুক্তদের। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, সেই রোষ মেটাতে গিয়েই শয্যাশায়ী বাবাকে ছেড়ে ছেলেকে টার্গেট করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।

আবার তদন্তকারীদের একাংশ এর পিছনে অন্য কারণও খুঁজে পাচ্ছেন। ১২ বছর আগে নিখিলকৃষ্ণবাবুর বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে সুজয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। তার জেরে এই গুলিকাণ্ড কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার বলছেন, ”শুটআউটের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম শীতল রায়। সে বিএসএফ কর্মী। এছাড়া আরেকজন বিএসএফ কর্মীও অভিযুক্ত রয়েছে। সবমিলিয়ে, ৫ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের সাহায্য করার অভিযোগে এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে।”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক


 rajesh pande