কোভিডে ম্লান কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত কেন্দুলির মেলা
বোলপুর, ১৪ জানুযারি (হি. স.) : কোভিডে ফাঁকা জয়দেব-কেন্দুলি মেলা ৷ মেলা হলেও নেই জমজমাট আমেজ ৷ কোনওর
কোভিডে ম্লান কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত কেন্দুলির মেলা


বোলপুর, ১৪ জানুযারি (হি. স.) : কোভিডে ফাঁকা জয়দেব-কেন্দুলি মেলা ৷ মেলা হলেও নেই জমজমাট আমেজ ৷ কোনওরকমে মেলা ও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রথমবার বাতিল হয়েছিল জয়দেব কেন্দুলির মেলা । পরে যদিও ঐতিহ্য ধরে রাখতে ‘ছোট’ করে মেলা করার সিদ্ধান্ত নেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং । সেই মোতাবেক শুক্রবার থেকে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা।

মকর সংক্রান্তির ভোর থেকেই অজয় নদীর ঘাটে চলছে পূণ্যস্নান । তবে একেবারেই ভিড় নেই মেলায় ও স্নানের ঘাটে ৷ প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে জয়দেব মেলায় ৷ তিল ধারণের জায়গা থাকে না ৷ করোনার প্রকোপে মেলার দৃশ্যটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ৷ রাধা-বিনোদের মন্দিরে পুজোর দীর্ঘ লাইন দেখা যেত ৷ এবছর হাতে গোনা ভক্ত এক এক করে গিয়ে পুজো দিচ্ছেন ৷ সব মিলিয়ে ম্লান কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত এই মেলা ৷ কেন্দুলির বাসিন্দা অনাদি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার জীবনে এত কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতেই জয়দেব মেলা কোনওদিন দেখি নি। তবে করোনার কারনেই ভিড় না হওয়ার মন খারাপ।"

তবে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথারীতি আঁটোসাটো করা হয়েছে । প্রায় দু হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে । নজরদারির জন্য রয়েছে ৭০ টি সিসিটিভি, ৭ টি ওয়াচ টাওয়ার ৷ ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও চলছে নজরদারি । ইভটিজিং, কেপমারি রুখতে সাদা পোশাকের পুলিশ রয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে । এছাড়া, স্নানের ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন রয়েছে, রয়েছে লাইফ বোট ৷ প্রশাসনের তরফে থেকে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই বারবার মেলা চত্ত্বরকে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। বাউলের সেভাবে আখড়া না হওয়ায় কিছুটা হলেও মন খারাপ বাউল শিল্পীদের। পাশাপাশি এই মেলার অন্যতম ঐতিহ্য কলা বিক্রি, এবার তা দেখা গেলেও সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।জয়দেবের মনের মানুষ আখড়ার বাউল শিল্পী তন্ময় দাস বাউল বলেন, "করোনার কারনে এবছর আখড়া বন্ধ রাখা হয়েছে সর্ব সাধারণের জন্য। কত বাউল শিল্পীর মিলন হত এই মেলায়। এবার কেউ আসেনি তাই মন খারাপ।" বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, “আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলা আজ থেকে শুরু হল। তবে আমরা গতকাল থেকেই মেলা নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম। তবে খুব বেশি মানুষ এখানে উপস্থিত হননি। সেই কারণে মানুষকে ধন্যবাদ জানাই আমরা। আমরা বারবার সচেতনতার প্রচার চালিয়েছি। অল্প কয়েকজন সাধু-সন্ন্যাসী উপস্থিত হয়েছেন। " হিন্দুস্থান সমাচার / হেমাভ


 rajesh pande