ত্রিপুরায় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত এক, পুলিশ ও সাংবাদিক সহ আহত ২৮
আগরতলা, ৩০ নভেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি এবং বিরোধী সিপিএমের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ
ত্রিপুরায় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত এক, পুলিশ ও সাংবাদিক সহ আহত ২৮


আগরতলা, ৩০ নভেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি এবং বিরোধী সিপিএমের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিক সহ প্রায় ২৯ জন আহত হয়েছিলেন। আহতদের মধ্যে জনৈক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিপাহিজলা জেলায় চড়িলামে ওই ঘটনায় পরিবেশ এখনও থমথমে রয়েছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশ ও টিএসআর মোতায়েন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, বিজেপি ও সিপিএম ওই ঘটনার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান সিপিএম বিধায়ক ভানুলাল সাহাও আক্রান্ত হয়েছেন।

আজ চড়িলাম ব্লকে সিপিএম ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচী নিয়েছিল। তেমনি বিজেপিও ও এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচী হাতে নিয়েছিল। দুই দলের কর্মীরা নিজ নিজ কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার পথেই সংঘর্ষ বাঁধে। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ইট পাটকেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সিপিএম বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহাও আক্রান্ত হয়েছেন।

খবর পেয়ে বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস, বিশালগড় থানার ওসি বাদল সাহা বিশাল পুলিশ টিএসআর সিআরপিএফ নিয়ে চড়িলাম ছুটে যান। রক্তাক্তদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। এরপর আরেক দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ।

গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে আহত হয়েছেন মহকুমায় কর্মরত সাংবাদিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস সহ কয়েকজন কনস্টেবল। সিপিএম সমর্থক শহীদ মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিশালগড় হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল আগরতলায় জি বি হাসপাতালে। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।

ওই সংঘর্ষে সিপিএমের ১২ জন কর্মী এবং বিজেপির ৯ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে। ওই ঘটনায় চড়িলামের বিধায়ক তথা ত্রিপুরার অর্থ মন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর নেতৃত্বে ওই ঘটনা সংগঠিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। হিন্দুস্থান সমাচার/সন্দীপ


 rajesh pande