সব্জির দাম আগুন, গৃহস্থের কপালে চিন্তার ভাঁজ
কলকাতা, ১৪ মে (হি.স.): বাজারে সব্জির দাম আগুন। চিন্তায় গৃহস্থেরা। দিন দিন যেন বাড়ছে আনাজপাতির দাম। ক
সব্জির দাম আগুন, গৃহস্থের কপালে চিন্তার ভাঁজ


কলকাতা, ১৪ মে (হি.স.): বাজারে সব্জির দাম আগুন। চিন্তায় গৃহস্থেরা। দিন দিন যেন বাড়ছে আনাজপাতির দাম। কী কিনবেন, কী খাবেন ভেবে আকুল। শনিবার সকালবেলায় অনলাইনে বরাত দিয়ে গিয়ে এক গৃহিনী দেখলেন ‘বিগ বাস্কেট’ খদ্দের টানতে ‘কম্বো অফার’ দিচ্ছে— একটা ফুলকপি, একটা বাঁধাকপি, ৫০০ বেগুন ৯৬ টাকায়। ওদের ১ কেজি বেগুন ৮৭ টাঃ থেকে ১২১ টাঃ। বেশি ভাল বেগুন ১২২ টাঃ।

ফুলকপি মাঝারি মাপের ২৮ টাঃ। ভেন্ডি ছিল ছিল ২৩ টাঃ, কমিয়ে দিচ্ছে ১৮ টাঃতে। পটল ছিল ৩৩ টাঃ, কমিয়ে দিচ্ছে ২৭ টাঃ-তে। বাঁধাকপি ২২টাঃ (৩৫০-৫০০ গ্রাম)। পেঁয়াজ ছিল ২৩ টাঃ ৯৯ পঃ, হয়েছে ১৯ টাঃ ১৯ পঃ। জ্যোতি ২ কিলো ছিল ৮৬ টাঃ, হয়েছে ৭৪ টাঃ ৬০ পঃ। এসবের সঙ্গে রয়েছে ডেলিভারি চার্জ। এসব দেখে গিন্নি পড়লেন ফাঁপড়ে। খোলাবাজারে তাহলে দামের হালটা কী? বাজারে মাছের আকাল। যা আছে দাম তুলনায় বেশি। মাংশের দামও বেশ চড়া। কলকাতার পাইকারি বাজারে মুরগির দামে সর্বকালীন রেকর্ড। খুচরো বাজারেও ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে মুরগির মাংসের দর। চড়া দাম আলু বা টমেটোরও।

আলুর প্রয়োজন ঘরে ঘরে। কিছু পরিবার আলু খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তাতে সার্বিক বিক্রি কমলেও দামে প্রভাব চোখে পড়েনি। আড়তদাররা জানাচ্ছেন, চাষিদের কাছ থেকে হিমঘরে এবার জ্যোতি আলু ঢুকেছে ১৮ টাকা কেজিতে। আর চন্দ্রমুখী ২৫ টাকা। সেই আলু যখন হিমঘর থেকে বেরোনো শুরু করছে, তার দাম ৬ থেকে ৭ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ হিমঘর ভাড়া থেকে শ্রমিকের মজুরি আলু বাছাই সবই তাতে যুক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ হিমঘর থেকে এবার চন্দ্রমুখী আলুর বাজারে রওনা দেওয়ার সময়ই দাম হয়ে যাচ্ছে ৩২ টাকা আর জ্যোতির ২৫ টাকা। এরপর পরিবহণ খরচ ও অন্যান্য খরচ নিয়ে পাইকারি বাজার ঘুরে সেই আলু যখন খুচরো বাজারে আসছে তখন চন্দ্রমুখীর দাম ৪০- ৪২ এবং জ্যোতির ৩০-৩২ টাকা হয়ে যাচ্ছে।

যেহেতু আলু হিমঘরে থাকে, তাই বাজারে চাহিদা কমলেও মাল নষ্ট হওয়ার কোনও ভয় নেই। তাই চাহিদা কমলে অন্য জিনিস যেমন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দাম কমিয়ে আড়তদার বা ব্যবসায়ীরা ছেড়ে দেন, আলুর ক্ষেত্রে তা হয় না। যতক্ষণ না নতুন আলু বাজারে উঠবে, ততক্ষণ স্টোর হওয়া আলু কম দামে ছাড়ার কোনও প্রশ্ন থাকছে না। আর নতুন আলুর চাষ হয় বছরশেষে।

পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আলুর দাম বাড়ায় তার চাহিদা কিছুটা কমেছে। পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলুর এক টাকা দামও কমেছে। কিন্তু খুচরো বাজারে সেই দাম কমেনি। যেহেতু চাষিদের থেকেই এবার আলু অনেক বেশি দামে হিমঘরে ঢুকেছে। সেই কারণে খুব একটা দাম কমবে না।”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক


 rajesh pande