নদীতটে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল করার প্রতিবাদে পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভ
বাঁকুড়া, ২৮ মে (হি. স.) : আগামী ১ জুন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে‌।ওই সভায় মুখ্যমন্ত্
নদীতটে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল করার প্রতিবাদে পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভ


বাঁকুড়া, ২৮ মে (হি. স.) : আগামী ১ জুন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে‌।ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।গন্ধেশ্বরী নদীর তীরে এই সভাস্থল।এই স্থানে সভা করার আপত্তি তুলেছে পরিবেশবাদীরা।জেলা প্রশাসন থেকে গ্ৰীণ বেঞ্চেও এবিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও সভাস্থল পরিবর্তনের কোনও উদ্যোগ নেই। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি শনিবার বাঁকুড়ার মাচানতলা মোড়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করলেও পুলিশ প্রশাসন মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।এদিন সকালে মাইক ছাড়াই প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন পরিবেশবাদীরা।গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির সাথে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরাও সামিল হন।গলায় প্লাকার্ড ঝুলিয়ে তারা প্রতিবাদে সরব হন।

গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির সম্পাদক গঙ্গা গোস্বামী বলেন দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এবং নোংরা আবর্জনা নদীতে ফেলার কারনে নদীটি মজে যায়।বাঁকুড়াবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে রাজ্য সরকার নদী সংস্কারে এগিয়ে এসেছে।এই সময় নদীর চরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হলে নদীর উপর চাপ পড়বে, বাস্তুতন্ত্রেও ভারসাম্য নষ্ট হবে।সে কারনে আমরা নদীতটে বাদ দিয়ে অন্য কোথাও সভার আর্জি জানিয়েছিলাম। ইতিপূর্বেও এই স্থানে সভা হলে তখনও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, তখন আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয় ভবিষ্যতে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না, তবুও ফের সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।একই অভিযোগ জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ্রের। নদী তীরে সভার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিং মহাপাত্র বলেন, ব্যক্তিগত জমিতে সভা হচ্ছে।নদীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। সভাস্থল নিয়ে ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।এবিষয়ে এক তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তুলেছেন এই গন্ধেশ্বরী নদীর চরে বুদ্ধবাবু, জ‍্যোতিবাবু সভা করেছেন তখন এই পরিবেশবাদীরা কোথায় ছিলেন?

হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ


 rajesh pande