সিবিআই জেরায় গড়হাজিরা থেকেও সওকতের অভিযোগের দৃঢ় অস্বীকার প্রকাশ্য সমাবেশে
কলকাতা, ২৮ মে (হি. স.) : কয়লা পাচার তো দূরের কথা কোথাও ঘুটে পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে হাসি মুখে ফাঁ
সিবিআই জেরায় গড়হাজিরা থেকেও সওকতের অভিযোগের দৃঢ় অস্বীকার প্রকাশ্য সমাবেশে


কলকাতা, ২৮ মে (হি. স.) : কয়লা পাচার তো দূরের কথা কোথাও ঘুটে পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠে যাব...। শনিবার বাখড়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে এমনটাই দাবি করলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। কয়লা পাচারকাণ্ডে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজির থাকতে বলা হলেও উপস্থিত হননি তিনি। আইনজীবী মারফত এই বিধায়ক ১৫ দিনের সময় চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দাগেন তিনি। সওকত বলেন, “আমাদের দল থেকে এক বিশ্বাসঘাতক মির্জাফর ওই দলে চলে গিয়েছে। বারবার বাবার কাছে বলছে তৃণমূলের কিছু নেতাকে টাইট দিতে হবে। তার জন্য তোমার মন্ত্র প্রয়োগ কর। মন্ত্রটা কী! সিবিআই-ইডি-কে কাজে লাগাও। আমি সিবিআই এবং ইডি-কে দোষ দিচ্ছি না। কারণ উপরের নির্দেশে তাদের চলতে হয়।” এখানেই শেষ নয়, এই বিধায়কের আরও অভিযোগ, “দেশের গরীব মানুষকে যারা প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে, অর্থ তছরুপ করছে, তাদের সিবিআই ডাকছে না কেন? তারা তো তৃণমূল করে না। তাই ডাকা হচ্ছে না।”

অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটু বলেন, “ওঁকে সিবিআই নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু, তিনি না গিয়ে এসব কথা বলছেন। যদি সৎ সাহস থাকে সিবিআই-এর কাছে যাবেন। সিবিআই আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে। কারও ভয় না থাকলে এবং দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না থাকলে সেক্ষেত্রে তিনি হাজিরা দেবেন। কেন তিনি অতিরিক্ত ১৫ দিনের সময় চাইলেন? বাংলার নেতারা একাধিক দুর্নীতিতে ডুবে। সৎ থাকলে সিবিআই-কে সহযোগিতা করতেন।” এই মন্তব্য নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

উল্লেখ্য, সওকত মোল্লা জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজে তিনি গত ১৫ দিন ব্যস্ত থাকবেন। তাই তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীকে তলব করেছিল সিবিআই। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের তলব করা হয়। এছাড়াও ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক


 rajesh pande