গুয়াহাটি, ২ জুলাই (হি.স.) : বেশ কিছুদিন রোগভোগের পর আজ শনিবার সকালে চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অসমের জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা বছর ২৮-এর কিশোর দাস।
জানা গেছে, ব্লাড ক্যানসারে আক্ৰান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা কিশোর। গতবছর কোভিডেও আক্ৰান্ত হয়েছিলেন তিনি। বহু চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে সক্ষম হতে পারেননি চিকিৎসকরা। গুয়াহাটির 'হেলথ সিটি'তে চিকিৎসাধীন ছিলেন কিশোর দাস। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাই। পরে মুম্বাই থেকে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে।
কিশোরের আশু আরোগ্য কামনা করে তাঁর সতীৰ্থ এবং অনুরাগীরা নিজের নিজের আরাধ্যের কাছে পুজো ও প্ৰাৰ্থনা করছিলেন। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকজন অনুরাগী ও শিল্পী তাঁদের সাধ্য মতো আর্থিক সহায়তাও করেছেন। মুম্বাই-যাত্রার আগে তাঁর অনুগামী ও সতার্থরা পরমেশ্বরের কাছে আশীৰ্বাদ কামনা করেছিলেন, কিশোর দাস যেন সুস্থ হয়ে ফিরে এসে পুনরায় একই ব্যস্ততায় অসমিয়া সাংস্কৃতিক জগতকে সমৃদ্ধ করেন।
কিশোর দাসের শেষ ছবি ‘দাদা তুমি দুষ্ট বড়ো’ মুক্তি পেয়েছিল গত ২৪ জুন। কিশোর খুব ভালো গান গাইতে পারতেন, নাচতেনও ভালো, বিশেষ করে বিহুনৃত্যে ছিলেন পারদর্শী। নিজস্ব ভঙ্গিমায় বহু গানের অ্যালবামে অভিনয় ও নৃত্য করে লক্ষ লক্ষ দর্শক-স্রোতার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন কিশোর।
মণ্টু মণির ‘চেলফি লে লে রে’, সীমান্ত শেখরের ‘লিপিকা’, দীপশিখা বরার ‘যদি মই তোকে কওঁ’, দীপলিনার ‘চেংকন’, সুবাসনা দত্তের ‘টুরুট টুরুট’, নীল আকাশের ‘কলিয়া কানাই’, দীপান্দিতা ডেকার ‘মিছাকৈ নকবি’ ইত্যাদি গানের অ্যালবামে কিশোরের সাবলীল অভিনয় কেউ ভুলতে পারবেন না কোনও দিন। গানের সঙ্গে অভিন্ন সম্পৰ্ক, অভিনয়ের সঙ্গে ছিল হৃদয়ের টান।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ / অরবিন্দ