মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার অতিষ্ট হয়ে পানাগড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী নির্যাতিতা গৃহবধূ
দুর্গাপুর, ১৫ আগস্ট (হি. স.) মদ্যপ স্বামীর নির্মম অত্যাচারের শিকার। শেষপর্যন্ত অত্যাচার সহ্য করতে ন
মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার অতিষ্ট হয়ে পানাগড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী নির্যাতিতা গৃহবধূ


দুর্গাপুর, ১৫ আগস্ট (হি. স.) মদ্যপ স্বামীর নির্মম অত্যাচারের শিকার। শেষপর্যন্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তানকেকে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল নির্যাতিতা গৃহবধু। সোমবার সারা দেশ যখন আজাদি কি অমৃত মহৎসবে মাতোয়ারা। অন্যদিকে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন অনুরাগপুরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি ও কমিশনারেট পুলিশ।

জিআরপি সুত্রে জানা গেছে, মৃতা গৃহবধূর নাম সীমা পন্ডিত (৩৫), মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পন্ডিত(৮), প্রাণিত পন্ডিত(৬)। পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন বুদবুদ থানার অনুরাগপুরের বাসিন্দা। সোমবার সকালে পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের ওপর তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পরিবার সুত্রে জানা গেছে, মৃতার স্বামী দশরথ পন্ডিত। পানাগড় রনিডিহা মোড় এলাকায় একটি গ্যারেজে কাজ করে। অভিযোগ, প্রতিদিন মদ্য পান করে বাড়ীতে অত্যাচার করত। স্ত্রীকে ও দুই সন্তানকে নির্মমভাবে মারধর করত। রবিবার রাত্রে অত্যাচার চরমে পৌঁছায়। মৃতার শ্বশুর উমাশঙ্কর পন্ডিত জানান, শনিবার রাত্রে অন্যান্য দিনের মতই মদ খেয়ে বাড়ীতে ফেরে ছেলে। তারপর বউয়ের ওপর মারধর শুরু করে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি ছেলেকে। কারও কথা শোনেনি। বাঁচাতে গেলে আমাদেরও মারধর করে। এদিন রাত্রে ওইভাবে অত্যাচার করে বেরিয়ে যায় ছেলে।

এদিকে পরদিন অর্থাৎ সোমবার ভোরে সীমা পন্ডিত তার দুই সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সকালে পানাগড়ে রেল লাইনের ওপর তাদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর পলাতক মৃতার স্বামী দশরথ পন্ডিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি ও কমিশনারেট পুলিশ।

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব


 rajesh pande