সৌমিত্রকে পাল্টা 'লক্ষ্মীছাড়া' বলে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ
কলকাতা, ১৫ আগস্ট (হি.স.): বিজেপি সাংসদ সৌমিত্রকে ‘লক্ষ্মীছাড়া’ বলেও কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র
সৌমিত্রকে পাল্টা 'লক্ষ্মীছাড়া' বলে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ


কলকাতা, ১৫ আগস্ট (হি.স.): বিজেপি সাংসদ সৌমিত্রকে ‘লক্ষ্মীছাড়া’ বলেও কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । সোমবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর-“কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় তথ্য দিয়ে এসেছেন কুণাল ঘোষ। সেই তথ্যই এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে পৌঁছে গিয়েছে।” এই মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে একথা বলেন তিনি । কুণালের পাশাপাশি এদিন বিজেপি সাংসদকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাও।

সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি করা যায় না, সৌমিত্রের সঙ্গে থাকা যায় না বলেই তো ওঁর স্ত্রী (সুজাতা মণ্ডল) তৃণমূলে চলে এসেছেন। তখন সৌমিত্র বলেছিল, আমার লক্ষ্মী চলে গেল। যাঁর লক্ষ্মী চলে গেল, তাঁকে তো এমনিই লক্ষ্মীছাড়া বলে। তাঁর কথার আবার কী উত্তর দেব! ওঁর যদি কিছু বলার থাকে, যা আছে পাঠিয়ে দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তার পরেও দেখা যাবে, সামনের সারিতে দাঁড়িতে ওঁদের গুষ্টির ষষ্ঠীপুজো আমিই করছি।’’

প্রসঙ্গত, সোমবার স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বৈলাপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে অংশ নেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কর্মসূচির পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। কুণাল যখন জেলে ছিলেন, তখন তৃণমূলের অনেক নেতা আনন্দ করেছিলেন। কিছু দিন আগেই ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কুণাল। এর পর যেখানে যা তথ্য পৌঁছে দেওয়ার, তিনি তা পৌঁছে দিয়েছেন। ইডি-সিবিআই পর্যন্ত তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন উনি।’’ এরপরই সরব হন কুণাল ঘোষ ।

তবে শুধু কুণাল নন, এদিন বিজেপি সাংসদকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। তাঁর দাবি, তৃণমূলে আসার জন্য দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, ‘‘সাংসদ কী বলেছেন, সেই ব্যাপারে আমি অবগত নই। সাংসদ তৃণমূলে আসতে চাইছেন। সে জন্য তিনি নিয়মিত আমাদের দলের অনেক নেতা-নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।’’ -হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি


 rajesh pande