ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ আশুতোষ মেহতাকে দু'বছরের জন্য নির্বাসিত করল নাডা
নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে দু’বছর নির্বাসিত হলেন এটিকে মোহনবাগানের
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ আশুতোষ মেহতাকে দু'বছরের জন্য নির্বাসিত করল নাডা


নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে দু’বছর নির্বাসিত হলেন এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতা। বুধবার রাতের দিকে জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ফলে আগামী দু’বছর ক্লাব বা জাতীয় স্তরে কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না আশুতোষ। তিনিই আইএসএলে খেলা প্রথম ফুটবলার যিনি ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হলেন।

নাডা সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আইএসএলের ম্যাচ চলাকালীন গোয়ায় আশুতোষের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেসময় মোহনবাগানের হয়ে খেলতেন আশুতোষ। মোহনবাগান সেদিন হায়দরাবাদ এফসির মুখোমুখি হলেও মাঠে নামেননি তিনি। সেই নমুনায় নিষিদ্ধ মরফিনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তাঁর নমুনায় নিষিদ্ধ মরফিনের উপস্থিতির প্রমাণ মেলার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নাডার তরফে। চলতি বছরের ২৪ জুন থেকে তাঁর নির্বাসন ধরা হবে বলে জানিয়েছে নাডা।

তদন্তকারীদের কাছে আশুতোষ দাবি করেন, শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য এক সতীর্থের দেওয়া ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন সেটি কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধ। যদিও ডোপ পরীক্ষায় ওই সতীর্থের শরীরে কোনও নিষিদ্ধ সামগ্রীর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরই নাডা আশুতোষকে দোষী সাব্যস্ত করে। নাডার আইন অনুযায়ী, মরফিন সংক্রান্ত ডোপিংয়ের ক্ষেত্রে অন্তত দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ডোপিং অ্যাপিল প্যানেলের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে আশুতোষের সামনে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় দলের পাশাপাশি মোহনবাগান, মুম্বই এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, আইজল এফসির মতো ক্লাবে খেলেছেন আশুতোষ। মোহনবাগান ও আইজলের জার্সিতে জিতেছেন আই লিগও।মোহনবাগান-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রথম সারির ক্লাবের হয়ে আইএসএল এবং আই লিগ মিলিয়ে দুশোর বেশি ম্যাচ খেলেছেন আশুতোষ। গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ওমানের বিরুদ্ধে অভিষেকের পর অবশ্য জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে। গত মরশুমের শেষে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে মোহনবাগান। চলতি মরশুমের শুরুতে চেন্নাইয়িন এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্সের মতো ক্লাবের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ালেও শেষ পর্যন্ত কোথাও সই করেননি আশুতোষ। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নাডা নির্বাসিত করেছিল বাংলার গোলকিপার সুব্রত পালকে। জাতীয় শিবিরে ডোপ পরীক্ষা করার পর সুব্রতের শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তবে পরে সুব্রত প্রমাণ করতে পেরেছিলেন যে, তিনি ইচ্ছে করে নিষিদ্ধ ওষুধ খাননি। নির্বাসনও কমিয়ে দেওয়া হয়।

-হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি


 rajesh pande