লন্ডন, ২৩ জানুয়ারি (হি.স.) : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে নির্মাতা বিবিসির বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের দাবি উঠল ইংল্যান্ডে। অনলাইন পিটিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’। সেখানে বিবিসির তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। একইসঙ্গে নির্মাতা বিবিসির নিন্দাও করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইন পিটিশনে আড়াই হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
লেখা হয়েছে,”বিবিসির কড়া নিন্দা করছি। তারা ডকু-সিরিজ তৈরির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।” একই সঙ্গে পিটিশনারদের আরজি, “বিবিসির নিরপেক্ষ ভূমিকা কেন পালন করল না, তা তদন্ত করে দেখুক বিবিসির বোর্ড।” তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ মিডিয়ার নজরদারি সংগঠন অফিস অফ কমিউনিকেশন বা অফকমের কাছেও তদন্তের আরজি জানানো হয়েছে।
পিটিশনে আরও লেখা হয়েছে, “২১ বছর পুরনো একটি ঘটনাকে নতুন করে তদন্তমূলক সাংবাদিকতার নামে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে নতুন কোনও তথ্যই নেই। বিশেষ এক মতামতকে তুলে ধরতে এই তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে তুলে আনা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা। যেখানে মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল।
শুরু থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এই সিরিজকে ঘিরে। গত মঙ্গলবার সম্প্রচার হয় ধারাবাহিক এই সিরিজের প্রথম পর্ব। কিন্তু পরদিনই সেটা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্ব ২৪ জানুয়ারি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। যার বিষয়বস্তু হল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর সময়কাল। বিবিসি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় কীভাবে ভারতের মুসলিমদের প্রতি তাঁর সরকারের মনোভাব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটাই এই সিরিজে দেখানো হবে। ভারতে না দেখানো হলেও দেশের বাইরে থাকা ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই এই সিরিজটিকের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী কার্যতই ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, ওই সিরিজটি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং এটিতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা দৃশ্যমান। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিরিজ ভারতে দেখাতে দেওয়া হবে না।-হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি