মুম্বই, ২৭ জানুয়ারি (হি. স.) : প্রয়াত হলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ অভিনেত্রী যমুনা। যিনি এককালে কিংবদন্তি এন টি রামা রাও-সহ দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির একাধিক ছবিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। সূত্রের খবর, শুক্রবার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
পারিবারিক সূত্রের খবর, এদিন নিজস্ব বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। যমুনার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাটি হল, পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে সত্যভামা। এই ছবিতে তার চরিত্রটি আজও অমর। খুব অল্প বয়সেই কেরিয়ার শুরু করেন অভিনেত্রী। থিয়েটার থেকে তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে তেলেগু, তামিল, কন্নড় এবং হিন্দি-সহ মোট ২০০ টি সিনেমায় অভিনয় করেন। তিনি ১৯৩৬ সালের ৩০ আগস্ট, কর্ণাটকের হাম্পিতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তিনি তাঁর বাবা-মা নিপানি শ্রীনিবাস রাও এবং কৌসল্যা দেবীর সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশে চলে আসেন।যমুনা ১৯৬৫ সালে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জুলুরি রমনা রাওকে বিয়ে করেন । তিনি ৮৬ বছর বয়সে ১০ নভেম্বর ২০১৪ -তে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তাঁদের একটি পুত্র ভামসি জুলুরি এবং একটি কন্যা, শ্রাবন্তী রয়েছেন।
তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন গুন্টুর জেলার দুগ্গিরালা স্কুল থেকে। ছোট থেকেই স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন অভিনেত্রী। যমুনার আসল নাম, জনা বাই। ১৬ বছর বয়সে গারিকপারি রাজারাও পরিচালিত পুটিল্লু (১৯৫৩) দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর চার দশকের কর্মজীবনে, শুধু নায়িকার ভূমিকাতেই নয়, বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যমুনা কেরিয়ার জীবনে ১১টি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তিনি সুনীল দত্ত এবং নূতন অভিনীত মিলন (১৯৬৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্যে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।১৯৯৯ সালে: তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র অনারারি পুরস্কার - এমজিআর পুরস্কার এবাং
২০০০৮ সালে এনটিআর জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, ১৯৮০ সালে কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৯ সালে রাজামুন্দ্রি থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন, কিন্তু ১৯৯১ সালে পরাজয়ের পর রাজনীতি ছেড়ে দেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
হিন্দুস্থানব সমাচার / সোনালি