কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি (হি. স.) : পণের দাবিতে গৃহবধূকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। দাবিমতো পণ না মেলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। হরিদেবপুরের ঘটনায় মৃতার ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার।
নিহত মাম্পি দাস, মালদহের ইংরেজ বাজারের ঝলজলিয়ার বাসিন্দা। সামাজিক মাধ্যমে মাম্পির সঙ্গে হরিদেবপুরের বাসিন্দা এক যুবকের আলাপ হয়। বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় দু’জনের। মাম্পির বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবি করা হত। দাবিপূরণ না হওয়ায় মাম্পির উপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত।
২৬ জানুয়ারি গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মাম্পির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও বধূর বাপের বাড়ির লোকজন সে দাবি মানতে নারাজ। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মাম্পিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক