জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের হেনস্থায় বিতর্ক
কলকাতা, ১ এপ্রিল (হি স)। তিলজলা-গাজোলে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের হেনস্থার ঘটনা
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের হেনস্থায় বিতর্ক


কলকাতা, ১ এপ্রিল (হি স)। তিলজলা-গাজোলে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের হেনস্থার ঘটনায় বিতর্ক উঠেছে। বিতর্ক উঠেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের ভূমিকা নিয়ে। সামাজিক মাধ্যমে একটি বহুল প্রচারিত সংবাদ চ্যানেলে এই খবর প্রচারের কয়েক ঘন্টা পর, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০-তে দর্শক হয়েছে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার জন। মন্তব্যের সিংহভাগেই তোপ রাজ্যের, আরও নির্দিষ্ট করে বললে সুদেষ্ণার দিকে।

নয়ন দাশগুপ্ত লিখেছেন, “এই সুদেষ্ণা রায় ভাইপোর শিশুর জন্য ককিয়ে ককিয়ে কাঁদেন, আর আসল গরীব শিশুদের উপর অত্যাচার কে আড়াল করেন। এই নির্লজ্জ দালালি বন্ধ হোক।” পদ্মরানী চ্যাটার্জী লিখেছেন, “জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে মার ধর করলে তিলজলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হোক সুদেষ্ণা রায় মিথ্যা বলছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্তকারী অফিসারকে তলব করুক। খুব বার বেড়েছে এরা।”

শান্তনু দে লিখেছেন, “রাজ্যের সব কিছুরই সর্বনাশ হয়ে গেছে।” সাগর সরকার লিখেছেন, “দিন দিন পশ্চিমবঙ্গের ভয়ংকর অবস্থা হতে যাচ্ছে। দুঃখ এটাই যে আমাদের দেখে যেতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে ছেড়ে যেতে হবে। একটা অন্যায় হয়েছে যেখানে কেন্দ্রীয় রাজ্য ও উভয় মিলে তার তদন্ত করবে সঠিকটা খুঁজে বের করবে তা না করে উভয়ে উভয়ের উপর দোষারোপ করছে।

এই প্রস্তুতির জন্য সরকার দায়ী। বাচাল ঘোষের কথা শুনলে শরীর থেকে মাথা পর্যন্ত রাগে রিরি করে উঠে, কিছু করার নেই।“

সিদ্ধার্থ মিত্র লিখেছেন, “আগে দেখতাম কোর্টের নির্দেশে বা বিরোধী দলের দাবীতে সন্দেহ জনক কিছু হলেই সিবিআই ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করার দাবী উঠত সরকার মেনে নিত। মিডিয়াও সন্তোষজনক ভূমিকা নিত। ২০১১ পালা বদলের পর দেখছি সব‌ই উল্টো।এখন কোর্টের নির্দেশে বা কেন্দ্রীয় কোন দল এলেই তাকে আটকানো হয়।অসহযোগিতা করা হয়। এমনকি কোর্টের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ, পাল্টা মামলা করা হয় কেন্দ্রীয় দলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনের জন্য।সর্বত্র ঢাকগুড়গুড় ব্যাপার। আরে তদন্ত করুক না যদি কোন গলতি না থাকে তবে কি ফাঁসানো যায়। তদন্তে গলতি হলে পরে তো কোর্টে গিয়ে রাজ্যসরকার সুবিচার চাইতেই পারে। এতে করে জনগনের কাছে পরিস্কার স্বচ্ছ থাকা যায়। আর এই সব করে মুখ ও পুড়ছে দুর্নীতি ও বেরিয়ে পড়ছে। সবাই তো এখন বলছে 'চোর '। আর মিডিয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের বিধবা পিসি যে লুকিয়ে সরকারের থেকে মাছ খাচ্ছে আর সরকারের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে।” সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী লিখেছেন, “মারাত্মক পরিস্থিতি! কুণাল বাবুর আপ্রাণ বোঝানোর চেষ্টা বিফলে যাবে, বাংলার মানুষ সবই বুঝতে পারছেন!”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক / কাকলি




 

 rajesh pande