জোড়া গ্রেফতারের পর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি এনআইএ-র
কলকাতা, ১ এপ্রিল (হি স)। এবার বিস্ফোরক সরবরাহেও কি প্রভাবশালী যোগ? শুক্রবার সন্ধ্যায় রানিগঞ্জ, রাজার
জোড়া গ্রেফতারের পর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি এনআইএ-র


কলকাতা, ১ এপ্রিল (হি স)। এবার বিস্ফোরক সরবরাহেও কি প্রভাবশালী যোগ? শুক্রবার সন্ধ্যায় রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে এনআইএ তল্লাশিতে মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান ও মোয়াজউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তির গ্রেফতারিতে জোরাল হচ্ছে তেমনই জল্পনা।

সূত্রের খবর, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছে এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার ধৃতদের জেরা করে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর, জেরায় জানা গিয়েছে এনআইএ-র গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভবনে সফটওয়ার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান। ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার (এনআইসি) প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরবরাহ করেছিল এরা। এত পরিমানে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরও কেন এরা ধরা পড়েনি উত্তর খুঁজছে এনআইএ।

যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তা থেকে বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনও জিনিস বানানো হলে, তার বিস্ফোরণে কম করে ১০০ জনের প্রাণ যেতে পারত বলেই দাবি করা হচ্ছে। আর পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এই গ্রেফতারি ঘিরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

এনআইএ সূত্রের দাবি, বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এর আগে মহম্মদবাজার থেকে রিন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। রিন্টুকে জেরা করে পাওয়া যায় নুরুজ্জামান এবং মোয়াজদ্দিনের নাম। রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে এনআইএ তল্লাশিও শুরু করে । যার পরে গ্রেফতার করা হয় মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান ও মোয়াজউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তিকে।

এই গ্রেফতারির পরই প্রভাবশালী যোগ থেকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

এনআইএ-এর যে দাবির পরই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল রাজনৈতিক চাপানউতোর। এমনিতেই রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল রাজ্যকে অশান্ত করতে চাইছে বলেই দাবি তুলছে বিরোধীরা। অপরদিকে, রাজ্যের শাসকদলের দাবি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্যের পুলিশ যে সর্বদা সজাগ, সেই প্রমাণই বারবার মিলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রমাগত অস্ত্র, বোমা উদ্ধারের একাধিক ঘটনায়।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক / কাকলি




 

 rajesh pande