বাইরনকে নিয়ে স্পষ্ট অসন্তুষ্টি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাদের
হুগলি, ২৯ মে (হি. স.) : বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিভিন্ন পর্য
বাইরনকে নিয়ে স্পষ্ট অসন্তুষ্টি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাদের


হুগলি, ২৯ মে (হি. স.) : বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিভিন্ন পর্যালোচনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দলবদলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সংখ্যালঘুদের ওপরেই। কিন্তু কী বলছে ফুরফুরা শরিফ? বাইরনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন তারাও।

বাইরন বিশ্বাসের গায়ে লেগেছে বিশ্বাসঘাতক তকমা। সাগরদিঘির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নাজমুস সায়াদাত সিদ্দিকি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “সাগরদিঘির মানুষ ভোট দিয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের নীচুতলা থেকে ওপরতলার নেতাকর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। বাইরন বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতক। ওঁ পয়সা ছাড়া কিছু চেনেন না। বাইরন তৃণমূলে গেলেও সাগরদিঘির মানুষ যায়নি।”

ফুরফুরা শরিফের বর্ষীয়ান পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকি বলেন, “বাইরন বিশ্বাস গদ্দার, বেইমান। সংখ্যালঘু মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন, দ্বিচারিতা করেছেন। আবার ভোট হলে হেরে যাবে গদ্দার বাইরন বিশ্বাস।” তিনি বলেন, “এতে তৃণমূলেরই বেশি ক্ষতি হবে। বাম-কংগ্রেস আরও মজবুত হবে। টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনা তৃণমূলের পলিসি। তৃণমূল দুর্নীতিতে ভরাডুবি হয়ে আছে। বাইরন বিক্রি হলেও, মানুষ ওদের সঙ্গে যাবে না।”

বাইরনের দলবদল কংগ্রেসকে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা দিয়েছে। তবে জোটের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা যে খেয়েছেন সংখ্যালঘুরাই, তা দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “সব থেকে বড় দুঃখের বিষয় সংখ্যালঘু সমাজ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে এসেছে, প্রতারিত হয়েছে, বঞ্চিত হয়েছে। তাঁরাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ওঁকে জিতিয়েছিলেন। তাঁরা এখন সব থেকে বেশি হতাশ।”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande