বক্সনগর (ত্রিপুরা), ২০ জুলাই (হি.স.) : কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন সিপাহীজলা জেলার বক্সনগরের বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন। সম্প্রতি পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমিতে হাল চাষের পর এবার তিনি গরু দিয়ে হাল চাষ করে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিলেন। শুধু হাল চাষ নয়, জমিতে মই দিয়ে ধানের চারা রোপনের কাজেও অংশ নেন তিনি। সাথে ছিলেন বিজেপির বক্সনগর মণ্ডলের একাধিক কার্যকর্তা ও কর্মী। ঘটনা আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর বুথে।
জানা গেছে, বুথ সভাপতি ফারুক মিয়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে জমির কাজ করতে পারছিলেন না। বিষয়টি জানতে পেরে বিধায়ক স্বয়ং এলাকাবাসী ও দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে ফারুক মিয়ার জমিতে পৌঁছে যান এবং স্বহস্তে হাল চাষ শুরু করেন। পরে মই দিয়ে ধানের চারা রোপণের কাজও করেন। এমন দৃশ্য দেখতে এলাকার বহু নারী-পুরুষ ভিড় করেন ফসলের মাঠে।
বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এই কাজে নেমে আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেছে। তিনি কৃষক ছিলেন। আমি বাবার সাথে ছোটবেলায় ধান চাষ করেছি। আজ সেই স্মৃতি ফিরে এল। কৃষক আমাদের অন্নদাতা, তাদের পাশে থাকা আমার কর্তব্য। তিনি জানান কিছুদিন আগেই বক্সনগরের কৃষকদের জন্য ৩০টি মিনি পাওয়ার ট্রিলার, ৫টি বড় পাওয়ার ট্রিলার প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে আরও ৫০টি পাওয়ার ট্রিলার, হ্যান্ড উইটার, সার ও উন্নতমানের বীজ কৃষকদের প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সোলার সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাতেও সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, এমন বিধায়ক আমরা কোনদিন দেখিনি। তিনি মাঠে নেমে আমাদের সাথে কাজ করেন। আগে পঞ্চায়েতে ধর্ণা দিতে হত। এখন চাওয়ার আগেই সব পাওয়া যায়। এলাকার মহিলা দীপালি দাস বলেন, আমি এতদিন শুধু শুনেছি বিধায়ক মানুষের পাশে থাকেন। কিন্তু আজ নিজের চোখে দেখলাম। একজন বুথ সভাপতির জমিতে নেমে কাজ করছেন, এটা আমাদের কাছে আনন্দের।
এই কর্মসূচিতে ছুটির দিন হওয়ায় সরকারি দুই কর্মচারীও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেন। তারা জানান, বিধায়কের এই জনদরদি মনোভাব দেখে তারাও মুগ্ধ। সমগ্র বক্সনগরে বিধায়কের এই উদ্যোগে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কৃষকদের মধ্যে ফিরে এসেছে নতুন উদ্যম।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ