বিতর্কিত মন্তব্যে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ
বাঁকুড়া, ১২ অক্টোবর (হি.স.) : বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। নেতানেত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্যে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনীতির ময়দানে। ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার মন্তব্য ঘির
বিতর্কিত মন্তব্যে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ


বাঁকুড়া, ১২ অক্টোবর (হি.স.) : বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। নেতানেত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্যে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনীতির ময়দানে। ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার মন্তব্য ঘিরে জেলায় জোর তরজা শুরু হয়েছে।

ওন্দা বাসস্ট্যান্ডে এক জনসভায় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, “আগামী ৫ নভেম্বর থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিচ্ছেন, যা গণতন্ত্র ও সংবিধানের পরিপন্থী।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের সৌজন্যেই এখনও মৃত ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ওন্দা ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম বিট। তিনি বলেন, “সরকার পূর্ণ সহযোগিতা করছে। মৃত ভোটারদের নাম যাচাই করে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের মতো পরিস্থিতি রাজ্যে নেই। বিধায়ক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া বোঝেন না।”

দিনের অন্য প্রান্তে বেলিয়াতোড়ের বিজয়া সম্মিলনী সভা থেকে আরও বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, “আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপিকে বাটি হাতে ঘুরতে হবে। বাংলায় এক দল, এক নেত্রী—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এক নেতা—অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন।”

মন্ত্রীর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। দলের নেতা স্বরূপ ঘোষ বলেন, “একজন মন্ত্রীর মুখে এ ধরনের ভাষা গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। এটি তৃণমূলের ক্ষমতার দাম্ভিকতার প্রতিফলন।”

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “বীরবাহা হাঁসদা সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই এমন ভাষা ব্যবহার করা তাঁর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত নয়। তবে উনি ঠিকই বলেছেন—ছাব্বিশে তৃণমূল একটা দল হয়েই থাকবে, তবে শাসনক্ষমতায় থাকবে না।”

বাঁকুড়ার রাজনীতিতে এই দুই নেতার মন্তব্য ঘিরে এখন তীব্র চাঞ্চল্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, জেলার রাজনৈতিক পারদ ততই বাড়ছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ বরাট




 

 rajesh pande