ফটিকরায়ে ‘আমি সেই মেয়ে’ থিমে বিগ বাজেটের কালীপুজোর আয়োজন এলবিবি ক্লাবের
কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ১২ অক্টোবর (হি.স.) : শারদ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে শ্যামা বন্দনার প্রস্তুতি। দেবী দুর্গার বিদায়ের পর রাজ্যজুড়ে এখন কালীপুজোর আমেজ। সেই আবহেই ঊনকোটি জেলার ফটিকরায়ের রাজনগর এলাকায় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী এলবিবি ক্লা
ফটিকরায়ে ‘আমি সেই মেয়ে’ থিমে বিগ বাজেটের কালীপুজোর আয়োজন এলবিবি ক্লাবের


কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ১২ অক্টোবর (হি.স.) : শারদ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে শ্যামা বন্দনার প্রস্তুতি। দেবী দুর্গার বিদায়ের পর রাজ্যজুড়ে এখন কালীপুজোর আমেজ। সেই আবহেই ঊনকোটি জেলার ফটিকরায়ের রাজনগর এলাকায় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী এলবিবি ক্লাব এ বছরও আয়োজন করেছে এক অনন্য থিমভিত্তিক কালীপুজোর। রবিবার খুঁটি পূজনের মধ্য দিয়ে এই পুজোর প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ক্লাব কর্মকর্তারা।

এবছরের পুজোর থিম “আমি সেই মেয়ে”, যা নারীর আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম ও সামাজিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো হবে বিগ বাজেটের, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে পুরো আয়োজনের জন্য। প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা ও প্রতিমা সজ্জায় থাকছে বিশেষ নজরকাড়া পরিকল্পনা, যা গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যেই শহুরে থিম পুজোর আবহ তৈরি করবে।

রবিবার ক্লাব প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয় খুঁটি পূজনের অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সভাপতি, সম্পাদক প্রীতম বিশ্বাসসহ অন্যান্য সদস্যরা। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো এবছরের পুজো প্রস্তুতি।

ক্লাব সম্পাদক প্রীতম বিশ্বাস বলেন, “বরাবরের মতোই এবছরও আমরা শ্যামা বন্দনায় ব্রতী। ‘আমি সেই মেয়ে’ থিমের মাধ্যমে সমাজে নারীর শক্তি ও আত্মনির্ভরতার বার্তা দিতে চাই। পুজোর দিনগুলোতে শুধু উৎসব নয়, আমরা সামাজিক কাজকর্মেও মনোযোগ দিচ্ছি।”

তিনি জানান, পুজোর উদ্বোধনী দিনে এলাকার গরিব ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে বস্ত্রদান কর্মসূচি আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি পুজোর চারদিন ধরেই ক্লাবের তরফে চলবে বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগ।

রাজনগরের এলবিবি ক্লাবের কালীপুজো বরাবরই ফটিকরায় ও আশেপাশের এলাকায় অন্যতম আকর্ষণ। গ্রামীণ অঞ্চলেও শহুরে মানের প্যান্ডেল ও থিমভিত্তিক কনসেপ্ট উপস্থাপন করে এই ক্লাব গত কয়েক বছর ধরে দর্শনার্থীদের মন জয় করেছে। এবছরও ব্যতিক্রম নয়।

পুজোর দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ক্লাবের তরফে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই পুজোকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande