পশ্চিম বর্ধমান, ২২ অক্টোবর, (হি.স.): দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় ধৃতদের জামিন খারিজ করে দিল আদালত। বুধবার সকালে ধৃত ছ’জনের মধ্যে চার জনকে হাজির করানো হয় বিচারকের সামনে। মঙ্গলবার অন্য দুই অভিযুক্তকে হাজির করানো হয়। তাঁদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার বাকি চার জনের আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর ধৃতদের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া (টিআই প্যারেড) করানো হবে। তার পর ২৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্য দিকে, বুধবার ‘নির্যাতিতা’ এবং তাঁর সহপাঠীর হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট দেখা হচ্ছে আদালত।
বুধবারের শুনানিতে নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলির পক্ষ থেকে আদালতে সওয়াল করেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী প্রঞ্জানাদীপ্ত রায়। তিনি ওই সহপাঠিকে নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত বলে জামিনের আবেদন করেন। তা খারিজ করে দেন অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক রাজীব সরকার। অন্যতিন অভিযুক্তদের হয়ে ‘লিগ্যাল এইড সার্ভিসে’র এর পক্ষ থেকে আইনজীব পুজা কুর্মিও অভিযুক্তদের নির্দোষ বলে জামিনের আবেদন করলে তাও খারিজ করে আদালত।
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এই মামলায় আর কোনও ধোঁয়াশা নেই। যাঁরা সত্যিই জড়িত তাঁরা শাস্তি পাবেনই।’’ তিনি জানান, মঙ্গলবার দু’জনের বক্তব্য শুনেছে আদালত। বুধবার বাকি চার জনের আবেদন শোনা হয়।
সরকারের তরফে তাঁদের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করা হয়। ‘নির্যাতিতা’ ধৃত সহপাঠী দাবি করেন, তিনি এই অপরাধের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নন। কিন্তু আমরা বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছি আদালতকে। আশা করছি, শীঘ্রই এই মামলার ফয়সালা হবে।’’
তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রথমে ধর্ষণ, তার পরে গণধর্ষণ ও শেষে, টাকা আদায়ের চেষ্টা, এই তিন ভাগে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেই অনুযায়ী মামলা সাজানো হয়েছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত
