উৎসবের মরশুমে ভিড় সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি-পর্যালোচনা এনএফ রেলের জিএম চেতনকুমারের
গুয়াহাটি, ২২ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব চলমান উৎসবের মরশুমে যাত্রীর সম্ভাব্য ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতি এবং যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করতে গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেছে
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এনএফ রেলের জিএম চেতনকুমার শ্রীবাস্তব


গুয়াহাটি, ২২ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব চলমান উৎসবের মরশুমে যাত্রীর সম্ভাব্য ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতি এবং যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করতে গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেছেন। গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৪৮,৯৭০ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতিদিন ২০০-এর বেশি ট্রেনে এখান থেকে যাত্রা শুরু, সমাপ্ত অথবা অতিক্রম করে এবং ব্যস্ত মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৬৫ হাজার জন যাত্রী যাতায়াত করেন।

পরিদর্শনকালে জেনারেল ম্যানেজার স্টেশনে গৃহীত বিভিন্ন ভিড় ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন। তিনি বর্ধিত যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য স্টেশনের বাইরে হোল্ডিং এরিয়াগুলিও পর্যালোচনা করেছেন, যেখানে প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম, পানীয় জল, শৌচাগার, পাখা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে সংবাদ মাধ্যমের সাথেও কথা বলেছেন জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন এবং উৎসবের মরশুমে যাত্রীদের সুরক্ষিত, দক্ষ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য অব্যাহত সতর্কতা এবং টিমওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তার ওপর গৃহীত নানা তথ্য দিয়েছেন জিএম।

তিনি জানান, অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবস্থা যেমন স্টেশনে অটোমেটেড টিকিট ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে, পাশাপাশি স্টেশন নজরদারি ফিড সিসিটিভি নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সাথে একীভূত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে যাত্রী ঘনত্বের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং সুরক্ষার জন্য বাণিজ্যিক কর্মচারীদের সাথে অতিরিক্ত আরপিএফ এবং জিআরপিকে শিফট ডিউটিতে নিযুক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় মসৃণভাবে হ্যান্ডলিং-এর জন্য কাউন্টার, প্রবেশদ্বার এবং এসকেলেটর অ্যাপ্রোচে ব্যারিকেড এবং রোপ লাইন সহ সারি ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া তিনি জানান, আরপিএফ কর্তৃক ড্রোন এবং সেগওয়ে স্কুটার সুরক্ষা কভারেজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, পাশাপাশি ডিভিশন এবং এনএফআর হেডকোয়ার্টার-এ ওয়ার রুম সহ স্টেশন প্রাঙ্গণে ২৪ ঘণ্টা ভিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়।

উৎসবের সময় ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত আবাসন এবং সুবিধা প্রদানের জন্য মোট ৬২০ ট্রিপ স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, দিল্লি, কলকাতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির সাথে যাত্রীদের সংযোগ এবং ভ্রমণের সুবিধা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন জিএম।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande