আগামীকাল ত্রিপুরায় ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট, বিরোধীতায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা
আগরতলা, ২২ অক্টোবর (হি.স.): বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে নাগরিক সমাজের একটি অংশের আহ্বানে ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঘোষিত ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটকে তীব্রভাবে সমালোচনা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। তিনি এই আন্দোলনকে “সংবাদ
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা


আগরতলা, ২২ অক্টোবর (হি.স.): বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে নাগরিক সমাজের একটি অংশের আহ্বানে ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঘোষিত ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটকে তীব্রভাবে সমালোচনা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। তিনি এই আন্দোলনকে “সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল” বলে উল্লেখ করেন এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে রাজ্য সরকার ধর্মঘট সমর্থন করে না।

সিপাহিজালা জেলার টাকারজলায় বিজেপির যোগদান অনুষ্ঠানে এবং নতুন বিজেপি কার্যালয় উদ্বোধনের সময় সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,“আমরা এই ধরণের ধর্মঘটের বিরোধীতা করি। সরকারি দফতরগুলিকে স্বাভাবিকভাবে চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলন শুধু দেশের সামনে সমস্যার ছবি তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র, ত্রিপুরার উন্নয়নকে রুখতে পারবে না।”

তিনি আরও জানান, ধর্মঘটের পেছনে কারা রয়েছে সরকার তা জানে। যদিও নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, “এটি একটি এনজিও গোষ্ঠীর উদ্যোগে ডাকা ধর্মঘট। তবে জনগণ বাস্তবতা জানে এবং উন্নয়নের পথে এই কৌশল সফল হবে না।”

ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডাঃ সাহা বলেন, প্রশাসন পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি আরও জানান, কিছু এনজিও এই ধর্মঘটের বিরোধীতাও করেছে।

উল্লেখ্য, তিপ্রা মথার বিধায়ক রণজিৎ দেববর্মার নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের একটি প্ল্যাটফর্ম ভারত-বাংলাদেশের ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্তে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে রুখতে এই ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যদিও তিপ্রা মথা রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী, জনজাতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে দলটি সক্রিয় প্রতিবাদ ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

রণজিৎ দেববর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে পিকেটিং ও রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হবে। আগরতলায় তিন থেকে চারটি স্থানে পিকেটিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে এবং তিনি নিজে রাজধানীতে থেকে আন্দোলন তদারকি করবেন। সমস্ত কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande