বাঁধ মেরামতি সম্ভব হয়নি, বৃহস্পতিবারও নোনা জলে ভাসল গোসাবার গ্রাম
গোসাবা, ৯ অক্টোবর (হি.স) : পূর্ণিমার ভরা কোটালের জলের তোড়ে বুধবার সকালে রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গোসাবা ব্লকের আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁইজালি গ্রাম। প্রায় ৩০০ ফুটের মত নদীর বাঁধে ধস নামে। ফলে জোয়ারের সময় জল বাড়লে সেই নোনা জল গ্রামে ঢুকে
বাঁধ মেরামতি সম্ভব হয়নি, বৃহস্পতিবারও নোনা জলে ভাসল গোসাবার গ্রাম


গোসাবা, ৯ অক্টোবর (হি.স) : পূর্ণিমার ভরা কোটালের জলের তোড়ে বুধবার সকালে রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গোসাবা ব্লকের আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁইজালি গ্রাম। প্রায় ৩০০ ফুটের মত নদীর বাঁধে ধস নামে। ফলে জোয়ারের সময় জল বাড়লে সেই নোনা জল গ্রামে ঢুকে চাষের জমি থেকে শুরু করে পুকুর সবই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ি এখনও জলের তলায়। বুধবারই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু নদীর জলের এতটাই দাপট যে সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে বুধবার রাতের জোয়ারে এবং বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে পুনরায় জল ঢুকেছে গ্রামে। বলা ভালো গ্রামে এখনও জোয়ার-ভাটা খেলছে।

বুধবারের বাঁধ মেরামতির সব চেষ্টাই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতটি মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে চেষ্টা করা হলেও বাঁধ মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করা যায় নি। রিং বাঁধ দেওয়ার যে চেষ্টা বুধবার থেকে চলছে তাও কার্যত বিফলে গেছে। সেচ দফতরের কর্মীদের দাবি, কোটাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাবে না। এদিনও সকালে পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জন মণ্ডল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা মণ্ডল ঘটনাস্থলে আসেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা কাজের পরিচর্যা করেন। নীলিমা বলেন, “আসলে এই রায়মঙ্গল নদী সুন্দরবনের অত্যন্ত বড় ও ভয়ঙ্কর নদী। এই নদীর স্রোত অত্যন্ত বেশি। ফলে কোটালে নদীর জল এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে জোয়ারের সময় ভাঙা অংশ দিয়ে জল গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। ভাটায় সেই জল নামছে। ফলে বাঁধের কাজ করা যাচ্ছে না। তবে সেচ দফতরের কর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন দ্রুত বাঁধ তৈরি করে যাতে নদীর নোনা জল গ্রামে না ঢোকে।” পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “ পাশাপাশি চারটে গ্রামের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সমস্ত চাষের জমি, পুকুরের মাছ সব নষ্ট হয়েছে। ফ্লাড শেল্টারে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এই জল ঢোকা বন্ধ না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করা যাচ্ছে না।”

বিডিও বিশ্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “ প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। রাতের জোয়ারে ফের জল ঢুকেছে গ্রামে। আমরা নজর রাখছি গোটা পরিস্থিতির দিকে। পাশাপাশি দ্রুত যাতে বাঁধ মেরামতি করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande