আর কত সহ্য করব নব্য-বিজেপির অবহেলা? পদত্যাগ করে বলেছেন রাজেন গোহাঁই
গুয়াহাটি, ৯ অক্টোবর (হি.স.) : নব্য-বিজেপির অবহেলা আর আর কত সহ্য করব? আজ বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আবেগের সঙ্গে বলেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন গোহাঁই। হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বার্তালাপে অভিমানী
রাজেন গোহাঁই


গুয়াহাটি, ৯ অক্টোবর (হি.স.) : নব্য-বিজেপির অবহেলা আর আর কত সহ্য করব? আজ বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আবেগের সঙ্গে বলেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন গোহাঁই।

হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বার্তালাপে অভিমানী রাজেন গোহাঁই বলেন, ‘অসম বিজেপির আচরণে এই সিদ্ধান্ত আমাকে নিতে হয়েছে। বহুদিন থেকে আদি নেতা-কার্যকর্তার প্রতি অন্যায়-অবিচার ও অবহেলা করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে আমাকে ব্রাত্য করা হচ্ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিজেপি-র সঙ্গে কয়েক দশক আগে জড়িত হয়েছিলাম। বিজেপিকে আমি প্ৰাণের চেয়ে ভলোবাসতাম। আজ প্রাণের দলটি ছাড়তে কষ্ট পাচ্ছি। বহু পুরনো স্মৃতি মনকে ভারাক্রান্ত করছে। কিন্তু কী করব? বিজেপি-র যাতে বদনাম না হয়, তাই এতদিন মুখ বন্ধ রেখেছিলাম।’

ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে ১৯৯৯ সাল থেকে টানা চারবার নগাঁও লোকসভা আসনে বিজয়ী হয়েছেন রাজেন। ক্ষোভ ব্যক্ত করে রাজেন গোহাঁই বলেন, ‘অসমের জনগণকে প্ৰদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা, রাজ্যে বহিরাগতদের বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বিজেপি। বিজেপি অসমিয়ার মূল শত্ৰু হয়ে পড়েছে।’

নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মেয়াদে রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নগাঁওয়ের অপ্ৰতিরোধ্য বিজেপি নেতা রাজেন গোহাঁই। ২০২৩ সালে নগাঁও লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্নিৰ্ধারণের প্ৰতিবাদে ক্যাবিনেট মযাৰ্দার অসম খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ নিগমের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গোহাঁই। তাঁর বক্তব্য ছিল, সীমানা পুনর্নিৰ্ধারণে জনবিন্যাসের ক্ষেত্ৰে প্ৰভাব ফেলবে, খিলঞ্জিয়া ভূমিপুত্রদের আধিপত্য খর্ব হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে তিনি হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার সঙ্গে কথাও বলেছিলেন, কিন্তু কোনও ইতিবাচক ফল লাভ হয়নি।

এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্ৰহণের দিন তিনি দলবিরোধী মন্তব্য করায় মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেদিন (২৬ এপ্রিল ২০২৪) মুখ্যমন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘যে ব্যক্তি নিৰ্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন মোদীজির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন, তাঁর দলে থাকা উচিত না-অনুচিত সেই সিদ্ধান্ত আমার দল নিতে পারে৷’

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande