সরকারি স্বীকৃতি পেল সাব্রুমের দ্বৈত্যেশ্বরী কালী মন্দিরের দীপাবলি উৎসব
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৯ অক্টোবর (হি.স.) : শ্যামাপূজার আবাহনে এবার এক অন্যরকম আনন্দ ও গর্বে ভাসছে দক্ষিণ ত্রিপুরার সীমান্ত শহর সাব্রুম। কারণ, এই প্রথমবার ত্রিপুরা সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্যালেন্ডার প্রোগ্রামে স্থান পেল সাব্রুমের ঐতিহ্যবাহী দ্বৈত্যেশ্বরী ক
প্রস্তুতি বৈঠক অনুষ্ঠিত


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৯ অক্টোবর (হি.স.) : শ্যামাপূজার আবাহনে এবার এক অন্যরকম আনন্দ ও গর্বে ভাসছে দক্ষিণ ত্রিপুরার সীমান্ত শহর সাব্রুম। কারণ, এই প্রথমবার ত্রিপুরা সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্যালেন্ডার প্রোগ্রামে স্থান পেল সাব্রুমের ঐতিহ্যবাহী দ্বৈত্যেশ্বরী কালী মন্দিরের দীপাবলি উৎসব। দীর্ঘদিনের ভক্তি, ঐতিহ্য ও সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক এই উৎসবকে সরকারি স্বীকৃতি এনে দিলেন সাব্রুম মহকুমা প্রশাসক শিবোজ্যোতি দত্ত—যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা রাজ্য সরকারের সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মন্দির কমিটির প্রচেষ্টায় দ্বৈত্যেশ্বরী কালীবাড়ি পূজা মর্যাদা পেল এক নতুন উচ্চতার।

বৃহস্পতিবার সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন শ্যামাপূজার প্রস্তুতি বৈঠক। সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলার সভাধিপতি দীপক দত্ত, সাতচাঁদ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান প্রভাস লোধ, সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রমা পোদ্দার দে, এসডিপিও নিত্যানন্দ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান দীপক দাস, সমাজসেবক তাপস লোধ সহ অন্যান্যরা।

সভায় মহকুমা শাসক শিবোজ্যোতি দত্ত জানান, “দ্বৈত্যেশ্বরী কালী মন্দির কেবল একটি পূজার স্থান নয়—এটি সাব্রুমের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক। এবার সরকারের উদ্যোগে দীপাবলি উৎসবকে বৃহত্তর পরিসরে উদযাপন করা হবে।”

উৎসবের তিনদিনব্যাপী কর্মসূচিতে থাকবে গঙ্গা আনয়ন, আরতি, নগর পরিক্রমা, সহস্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূজা প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত রাখা হবে এবং চাঁদা আদায়ে কোন জুলুম বরদাস্ত করা হবে না।

দক্ষিণ জেলার সভাধিপতি দীপক দত্ত বলেন, “এটা শুধু সাব্রুমের নয়, গোটা দক্ষিণ ত্রিপুরার গর্বের বিষয়। স্থানীয় মানুষের ভক্তি এবার সরকারি মর্যাদা পেয়েছে—এ যেন বিশ্বাসের জয়।”

ইতিমধ্যেই দ্বৈত্যেশ্বরী কালী মন্দিরের আঙিনা সাজতে শুরু করেছে রঙিন আলো ও ফুলে। ভক্তি, আলো ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধনে আসন্ন ১৯ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দীপাবলি উৎসব পরিণত হবে এক অলৌকিক দীপ্তিতে ভরা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায়, যেখানে মিশবে জাতি, ধর্ম, বর্ণের সব সীমানা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande