
আগরতলা, ১৩ নভেম্বর (হি.স.) : গত এক বছরে ত্রিপুরায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে এক থেকে দেড় হাজার মেট্রিক টন। রাজ্যে মাছের ঘাটতি কমাতে ও উৎপাদন বাড়াতে মিশন মুডে কাজ চালাচ্ছে মৎস্য দফতর। বৃহস্পতিবার আগরতলার গোর্খাবস্তির মৎস্য অধিকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দফতরের রাজ্যভিত্তিক দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে একথা জানান মৎস্য দফতরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দফতরের সচিব দীপা ডি নায়ার, অধিকর্তা সন্তোষ দাস সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে মৎস্য মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবর্ষ ২০২৫-২৬-এর বিগত ছয় মাসে দফতরের বরাদ্দ বাজেট কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, কতটা কাজ বাকি রয়েছে এবং কাজে কী বাধা সৃষ্টি হয়েছে—তা নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি, আগামী তিন থেকে চার মাসে দফতরের কাজের রূপরেখাও নির্ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য দফতরের লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের গরিব ও কৃষকদের এই দফতরের প্রকল্পের মাধ্যমে সাবলম্বী করে তোলা। পরিত্যাক্ত জলাশয়গুলিকে কাজে লাগিয়ে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে রাজ্যে মাছের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়।”
বর্তমানে ত্রিপুরায় মাছের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার মেট্রিক টন, যেখানে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন—ঘাটতি রয়ে গেছে প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন। তবে গত এক বছরে উৎপাদন এক থেকে দেড় হাজার মেট্রিক টন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফলে রাজ্যের চাহিদা মেটানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানি করা মাছের মাধ্যমে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে রাজ্যের মৎস্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং রাজ্য আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ