ঝাড়গ্রামের রাজ কলোনিতে সিএএ শিবির ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ ক্যাম্প
ঝাড়গ্রাম, ১৬ নভেম্বর (হি.স.) : ঝাড়গ্রাম শহরের রাজ কলোনি এলাকায় সিএএ ‘প্রশিক্ষণ শিবির’কে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল। আরএসএস-ঘনিষ্ঠ পূর্ববঙ্গীয় উদ্বাস্তু কমিটির উদ্যোগে এদিন ওই এলাকায় একটি শিবির চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পু
ঝাড়গ্রামের রাজ কলোনিতে সিএএ শিবির ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ ক্যাম্প


ঝাড়গ্রাম, ১৬ নভেম্বর (হি.স.) : ঝাড়গ্রাম শহরের রাজ কলোনি এলাকায় সিএএ ‘প্রশিক্ষণ শিবির’কে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল। আরএসএস-ঘনিষ্ঠ পূর্ববঙ্গীয় উদ্বাস্তু কমিটির উদ্যোগে এদিন ওই এলাকায় একটি শিবির চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে শিবিরটি বন্ধ করে দেয়। পরে সেই দলের তিন সদস্য কাছাকাছি একটি স্থানীয় ব্যক্তির বাড়িতে বসে আবার ক্যাম্প শুরু করলে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিবিরটির পিছনে বিজেপির প্রভাব রয়েছে এবং সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোই দলের মূল উদ্দেশ্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান শহর তৃণমূল সভাপতি নবু গোয়ালা ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম মাহাতো। তাঁদের উপস্থিতিতেই দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিবির বন্ধ হয়।

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সংযোজক বাপ্পা বসাক বলেন,“১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এমন বহু উদ্বাস্তু পরিবার আছে যাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। তাঁদের সহায়তার জন্যই প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়েছিল। তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে গন্ডগোল করেছে।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন,“সিএএ যখন দেশে আইন হিসেবে পাস হয়েছে, তখন বাংলাকে আলাদা বলা হচ্ছে কেন?”

অন্যদিকে শহর তৃণমূল সভাপতি নবু গোয়ালা দাবি করেন,“বাংলায় সিএএ কার্যকর হয়নি। রাজ্য সরকারের কোনও বিজ্ঞপ্তিও নেই। বিজেপির লোকজন ভোটের আগে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পূর্ববঙ্গীয় মানুষদের রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।”

পুলিশ পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে শিবির বন্ধ করে দেয়। এলাকায় আপাতত শান্তি ফিরেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande