
রায়গঞ্জ, ১৭ নভেম্বর (হি. স.) : ছয় দফা দাবিতে সরব আশা কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে। শনিবার ঘড়ি মোড়ে পথ আটকে দেয়। যদিও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা।ঘটনায় প্রকাশ, অ্যাপ–ভিত্তিক অতিরিক্ত কাজ চাপানো এবং ভাতা বৃদ্ধি সহ ছয় দফা দাবিকে কেন্দ্র করে সোমবার রায়গঞ্জের ঘড়ির মোড়ে পথ অবরোধ করে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা। যদিও তাদের সকলেই আশাহত। দুপুরের আগে শুরু হওয়া এই অবরোধ ঘিরে ব্যস্ত মোড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। আশা কর্মীদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দফতরের নির্দেশে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামো ও অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ছাড়াই এই অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলেই জানান তাঁরা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই ভাতা বৃদ্ধির দাবি উপেক্ষিত। এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ আন্দোলনকারীদের। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাতা বৃদ্ধি, সরকারিভাবে স্বীকৃতি প্রদান, প্রতি বছর তিন শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা, সরকারি ছুটি নিশ্চিত করা, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং অ্যাপ–ভিত্তিক অতিরিক্ত কাজ প্রত্যাহার - এই ছয় দফা দাবিতে এদিন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাবিপত্রটি উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের নিকট জমা দেওয়ার কথাও জানান নেতারা। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা এসমাতারা খাতুন বলেন - ' ন্যায্য দাবিগুলি অবিলম্বে মানতে হবে। তা না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবো আমরা।” অবরোধের জেরে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হলেও পুলিশের তৎপরতায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত