
হাফলং (অসম), ২২ নভেম্বর (হি.স.) : শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত অংশে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য, গণবণ্টন ও ভোক্তা বিষয়ক, খনি ও খনিজ সম্পদ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়।
আজ শনিবার শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা অংশের কাজ পরিদর্শন করে হাফলং আবর্ত ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যসভার সদস্য কণাদ পুরকায়স্থকে পাশে নিয়ে মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা অংশে এক-দুই জায়গায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণকাজে কিছু সমস্যা রয়েছে। হারাঙ্গাজাওয়ের কাছে দলইচুঙ্গা এবং জাটিঙ্গার কাছে প্রায় ১৫০ মিটার জমি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তবে জমি অধিগ্রহণ সংক্ৰান্ত এই জটিলতা দ্রুত মিটিয়ে ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা অংশের ২৫ কিলোমিটার দুইলেন রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ওই চারলেন রাস্তাও নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা অংশের কাজ পরিদর্শন করে যে এক-দুটি জায়গায় জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে সড়ক নির্মাণ করতে সমস্যা হচ্ছে, সে সম্পৰ্কে আবর্ত ভবনে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ কৰ্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য কনাদ পুরকায়স্থ, বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম, বিধায়ক নিহাররঞ্জন দাস, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কার্যনিৰ্বাহী সদস্য দনপাইনন থাওসেন, পরিষদের প্রধানসচিব পার্থ জহরি, জেলাশাসক মুনীন্দ্রনাথ নাগাতে এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের শীর্ষ আধিকারিকরা।
মন্ত্রী কৌশিক রাই বলেন, জমি অধিগ্রহণ বাবদ যে ক্ষতিপূরণের সমস্যা রয়েছে, আগামী সোমবার থেকে এ নিয়ে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে জরিপ করবেন। কারা জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ পাননি, তা খতিয়ে দেখা হবে। জরিপের কাজ তিনদিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। আগামী ২৯ নভেম্বর তিনি পুনরায় এসে এ ব্যাপারে বৈঠক করে ক্ষতিপূরণের সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক।
তবে যে সকল গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণের দাবিতে কাজ করতে দিচ্ছেন না, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজে বাধা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। ক্ষতিপূরণের সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওই অংশে পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ না পাওয়া নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ইতিমধ্যে চারটি গ্রামের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন শুধু একটি গ্রামের পাঁচটি পরিবারের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বাকি। তা-ও দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান মন্ত্রী কৌশিক রায়।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব