
দুর্গাপুর, ২২ নভেম্বর (হি.স.) : পরকীয়া সন্দেহ ও চাকরিতে যাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে জনবহুল রাস্তায় স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালেই অন্ডালের হরিপুর বাজারে ঘটে মর্মান্তিক এই ঘটনা। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং উন্মত্ত স্বামীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আক্রান্ত পায়েল গোপ সিঁদুলি গ্রামের বাসিন্দা। আট বছর আগে পান্ডবেশ্বরের ছোড়া গ্রামের পিন্টু গোপের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দুই সন্তানের সঙ্গে তারা ইসিএল আবাসনে ভাড়া থাকত। অভিযোগ, পিন্টু স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করলেও বেশিরভাগ উপার্জনই মদ্যপানে খরচ করে ফেলতো। সংসারে আর্থিক অনটন তৈরি হওয়ায় পায়েল হরিপুরের একটি নার্সিংহোমে চাকরি নেন। সেই থেকেই স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে ক্ষুব্ধ ছিল পিন্টু, দাম্পত্যে নেমে এসেছিল অশান্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে স্কুটি করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন পায়েল। পিছু নেন পিন্টু। হরিপুর বাজারে পৌঁছতেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে হামলে পড়েন তিনি। কয়েকটি কোপে পায়েল রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন ছুটে এসে পিন্টুকে আটক করেন এবং অস্ত্রটি কেড়ে নেন। পায়েলকে গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পায়েলের মা অভিযোগ করেছেন, “জামাই সংসারের খরচ দিত না। মেয়ের চাকরি করা নিয়েই অশান্তি চলত। আজ যেভাবে মেয়েকে মেরেছে, তার কঠোর শাস্তি চাই।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পিন্টুকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে গ্রেফতার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা