কোহলি ভক্ত চন্দ্রহাস দাশের তিন শতরানের ইনিংসে অভিভূত, কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা
কলকাতা, ২৪:নভেম্বর (হি. স.) : কোচবিহার ট্রফিতে ত্রিশতরানের ইতিহাস। নয়া রেকর্ড গড়েছে বাংলার অধিনায়ক কোহলি - ভক্ত চন্দ্রহাস দাস, উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী। চন্দ্রহাস দাস। যেভাবে কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার অনূর্ধ্ব - ১৯ অধিনায়ক উপর্যুপরি
বাংলার ব্যাটিংয়ে নতুন আবিষ্কার চন্দ্রহাস দাশ


কলকাতা, ২৪:নভেম্বর (হি. স.) : কোচবিহার ট্রফিতে ত্রিশতরানের ইতিহাস। নয়া রেকর্ড গড়েছে বাংলার অধিনায়ক কোহলি - ভক্ত চন্দ্রহাস দাস, উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী।

চন্দ্রহাস দাস। যেভাবে কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার অনূর্ধ্ব - ১৯ অধিনায়ক উপর্যুপরি শতরান হাঁকালেন তাতে 'সেঞ্চুরিহাস' ও তো বলা যেতে পারে! মাঠে নামলেই যে সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে। এদিন কল্যাণীতে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছে চন্দ্রহাস দাশ। বাংলার ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত সর্বাধিক রানের ইনিংস।

অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে নেমে ১৭২ বলে ১২৪ রান করে নিউ টাউনের বাসিন্দা চন্দ্রহাস। সেই ইনিংসে ১৭টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি। উল্লেখ্য, চণ্ডীগড়়ের বিরুদ্ধে গতকাল পর্যন্ত দ্বি - শতরানের ইনিংস হাঁকানোর পর চন্দ্রহাস সোমবার ৩১৯ বলে ৩৩২ রানের ইনিংস খেলেছে। মেরেছেন ৫৩টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা ।

ঐতিহাসিক ইনিংস খেলার পর এক প্রতিক্রিয়ায় চন্দ্রহাস বলেছে, সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কোনও টার্গেট ছিল না। বল অনুযায়ী খেলে গিয়েছি। লুজ বল পেতেই শট খেলেছি। তাতেই মাইলস্টোন। তবে আগামী ইনিংসেও নতুনভাবে শুরু করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।

প্রসঙ্গত, ৮ বছর বয়সে খেলা শুরু চন্দ্রহাসের। বাবা সৌমেন্দ্র প্রসাদ দাশের হাত ধরে ভর্তি হন করুণাময়ীর ২২ ইয়ার্ডস স্পোর্টস স্কুলে। ত্রিশতরান হাঁকিয়ে সেই আকাদেমির কাঞ্চন স্যার থেকে শুরু করে রাজীব গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা এখন মনে পড়ছে চন্দ্রহাসের। কোচ - সৌরাশিস লাহিড়ী, সঞ্জীব সান্যালদের পরামর্শ মেনে চলে সে তৈরি করেছে ।

উল্লেখযোগ্য বিষয় - ৯ বছর বয়সে সিএবি পরিচালিত টুর্নামেন্টে খেলার প্রথম সুযোগ মেলে। অনূর্ধ্ব - ১৩ বিভাগে অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও স্বাদ পেয়েছেন। কোভিড আবহের পর সিএবির অনূর্ধ্ব - ১৬ শিবিরেও তাঁর কেরিয়ারে ইতিবাচক সাহায্য মিলেছে বলে জানায় চন্দ্রহাস। ২ বছর দ্বিতীয় ডিভিশনে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের হয়ে খেলার পর প্রথম ডিভিশনে খেলেছে বালিগঞ্জ ইউনাইটেডে। এখন খেলছে বড়িশায়। বিরাট কোহলির ভক্ত চন্দ্রহাস সুযোগ পেতে চান ভারতীয় দলে। সিএবি যেভাবে তাঁকে কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করছে, তাতে কৃতজ্ঞ চন্দ্রহাস।

বাংলার অনূর্ধ্ব - ১৯ দলের হেড কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী জানিয়েছেন, চন্দ্রহাসের ঐতিহাসিক ইনিংসের সাক্ষী থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। সৌরাশিসের কথায়, আমি ২ বছর ধরে চন্দ্রহাসকে দেখছি। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। খুব পরিশ্রমী, ফিট। কঠোর পরিশ্রমেরই সুফল পাচ্ছে। অনূর্ধ্ব - ১৯ ব্যাটসম্যানের ত্রি - শতরানের ইনিংস হাঁকিয় খেলছে এটা সচরাচর দেখা যায় না। আরও খেলা বাকি রয়েছে। আরও রান করবে। চন্দ্রহাসের সামনে গ্রেট কেরিয়ার অপেক্ষা করছে। সর্বোচ্চ পর্যায়েও খেলার যোগ্যতা রয়েছ। বাংলার হয়েও দীর্ঘদিন খেলতে পারবে চন্দ্রহাস।

সৌরাশিস জানালেন, গত বছরের তুলনায় খেলা অনেক বদলেছে চন্দ্রহাসের। সৌরাশিস বলেন, টেকনিক্যাল কিছু পরিবর্তন এনেছে ব্যাটিংয়ে। মানসিকভাবে অনেক বেশি রিল্যাক্সড থাকছে । উপভোগ করছে। আগে ও নিজেকে চাপে ফেলে দিত। কিন্তু এবার প্রসেসে জোর দিচ্ছে, ফল নিয়ে ভাবছে না। তাতেই ব্যাটিং উপভোগ করছে। ফুটওয়ার্ক ভালো হয়েছে। পায়ের নড়াচড়া খুব ভালো। শট খেলতেও দ্বিধায় থাকছে না। বোলারদের উপর দাপট দেখাচ্ছে।

অসমের পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও ইনিংস জয়ের অপেক্ষায় বাংলা। দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী চন্দ্রহাস বলেছে, সবাই পারফর্ম করছে। বন্ডিং খুব ভালো। দলগতভাবে আমরা খেলছি। ভালো জায়গায় আছি। মঙ্গলবার সরাসরি জয়ের লক্ষ্যেই খেলা হবে। আগেরবার আমরা ভালো খেললেও ট্রফি জিততে পারিনি। কোচবিহার ট্রফি জেতা এখন প্রধান ও প্রথম লক্ষ্য।

হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত




 

 rajesh pande