কাঁকসায় বিজেপিকর্মী খুনের ঘটনায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় সরকারি আইনজীবি বদলের আবেদন
দুর্গাপুর, ২৪ নভেম্বর (হি. স.) : সাত বছরে শুরু হয়নি মামলার ট্রায়াল। কাঁকসায় বিজেপিকর্মী খুনের ঘটনায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় সরকারি আইনজীবি বদলের আবেদন অভিযোগকারীর। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় শিল্পাঞ্চলজুড়ে। পাল্টা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মা
কাঁকসায় বিজেপিকর্মী খুনের ঘটনায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় সরকারি আইনজীবি বদলের আবেদন


দুর্গাপুর, ২৪ নভেম্বর (হি. স.) : সাত বছরে শুরু হয়নি মামলার ট্রায়াল। কাঁকসায় বিজেপিকর্মী খুনের ঘটনায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় সরকারি আইনজীবি বদলের আবেদন অভিযোগকারীর। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় শিল্পাঞ্চলজুড়ে। পাল্টা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হুঁশিয়ারি দুর্গাপুর আদালতের সরকারি আইনজীবি ইনচার্জের।

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর কাঁকসার সরস্বতীগঞ্জে মিটিং সেরে ফেরার পথে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় বিজেপিকর্মী সন্দীপ ঘোষ। ঘটনায় তৎকালীন বিদবিহার পঞ্চেয়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাইফুল, জাহারুল মিদ্য, সুকুমার সাহা, শেখ হিরন সহ ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি।

ঘটনায় জাহারুল, সুকুমার সাহা, শেখ হিরন সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। তবে অধরা থেকে যায় তৎকালীন তৃণমূলের বিদবিহার পঞ্চায়েতের সদস্য সেখ সাইফুল। ঘটনার সাত বছর পরও ট্রায়ল শুরু না হওয়ায় হতাশ মামলার অভিযোগকারী জয়দীপ ব্যানার্জি। বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় মামলায় সরকারি আইনজীবি (পিপি) শ্রাবণী সরকারকে সরানোর দাবী তুলেছেন। মামলায় পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের নিকট তিনি সরকারী আইনজীবি (পিপি) বদলের আবেদন করেছেন।

জয়দীপবাবু অভিযোগে জানিয়েছেন, বর্তমানে এই মামলায় সরকারি পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শ্রাবণী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর আদালতে দুর্নীতি এবং পেশাগত অসদাচরণের ১৮টিরও বেশি অভিযোগ রয়েছে। এই মামলার ক্ষেত্রেও মনে করছি, আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কারন, ঘটনায় রহস্যজনকভাবে মূল অভিযুক্ত শেখ সাইফুল এখনও গ্রেফতার হয়নি। ট্রায়ল শুরু হয়নি। শেখ সাইফুল একজন প্রভাবশালি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, এভাবে হয়তো আমরা বিচার পাবো না। কারন, অভিযুক্ত শেখ সাইফুল বর্তমান পিপিকে ঘুষ দেওয়ার এবং এরকম সংবেদনশীল মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে হেরফের করার চেষ্টা করেছেন। অপরাধীরা বেকসুর খালাস পেয়ে যেতে পারে। তাই সরকারি আইনজীবি শ্রাাবণী সরকারকে মামলায় পিপির দায়িত্ব থেকে সরানোর আবেদন করেছি। প্রয়োজনে এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে পিপি আনা হোক। এদিকে পিপি বদলের আবেদনের খবর চাউর হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্দীপ ঘোষ মামলার শুনানি ছিল। যদিও এদিন মামলায় সরকারি আইনজিবি (পিপি) দাঁড়ায়নি।

বিজেপির দুর্গাপুর-বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্দীপ ঘোষ খুনের মামলায় তদন্তকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপ্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করার চক্রান্ত। অভিযুক্তরা প্রভাবশালি, বালি মাফিয়া। অভিযুক্তরা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোট লুট করে। ভোটের সময় সন্ত্রাস করে এলাকায়। আমরা হাইকোর্টে আপিল করেছি। পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে। আশা রাখছি, তাতে অপরাধীরা শাস্তি পাবে। অভিযোগ অস্বীকার করে দুর্গাপুর আদালতের সরকারি আইনজীবি (পিপি) ইনচার্জ দেবব্রত সাঁই বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভীত্তিহীন অভিযোগ। অভিযোগকারী, রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সমাজমাধ্যমে একজন সরকারি আইনজীবির সম্মানহানি করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande