
আগরতলা, ২৪ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ সহ সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার প্রজ্ঞাভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম সম্পর্ক যোজনা, মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা ২.০ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ১৫ হাজার পরিবারের একযোগে পাকা বাড়িতে প্রবেশের ঐতিহাসিক কর্মসূচি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নয়নই রাজ্যের অগ্রগতির মূল ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি হল গ্রামের মানুষের জীবনে মৌলিক পরিবর্তন আনা—সেই লক্ষ্যেই গ্রামাঞ্চলে গৃহনির্মাণ, বিদ্যুৎ, রাস্তা, পানীয় জলসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার পরিবারকে পাকা গৃহ দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক বদল এসেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ভাল কাজের জন্য ত্রিপুরা ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সাফল্যের জন্য রাজ্য মোট ৭টি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে ত্রিপুরার অবস্থান সারা দেশেই প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় অসাধারণ কাজের জন্য উত্তর ত্রিপুরা জেলা প্রথম স্থান, ঊনকোটি জেলা দ্বিতীয় ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা তৃতীয় স্থান অর্জন করে। এছাড়া রাইস্যাবাড়ি, করবুক, তেলিয়ামুড়া, কলাছড়া, মোহনভোগ, জোলাইবাড়ি, চণ্ডীপুর ও লেফুঙ্গা ব্লককে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত বই ও ফটো গ্যালারির উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উন্নত ত্রিপুরা গড়তে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের আস্থা ও উন্নয়নই আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি।”
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ