কাঁকসায় তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে মৃত ভোটারের এপিক ব্যবহারের অভিযোগ
দুর্গাপুর, ২৬ নভেম্বর (হি.স.) : কাঁকসা ব্লকে ভোটার তালিকা সংশোধনকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তপন দাস নামে এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, তিনি আউশগ্রাম বিধ
কাঁকসায় তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে মৃত ভোটারের এপিক ব্যবহারের অভিযোগ


দুর্গাপুর, ২৬ নভেম্বর (হি.স.) : কাঁকসা ব্লকে ভোটার তালিকা সংশোধনকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তপন দাস নামে এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, তিনি আউশগ্রাম বিধানসভার মৃত এক ভোটারের এপিক নম্বর ব্যবহার করে নিজের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন।

স্থানীয় তৃণমূলেরই এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অজয় মজুমদার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে ই-মেল করে অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এই এলাকা অত্যন্ত সংবেদনশীল, এখানে বায়ুসেনা ঘাঁটি, পানাগড় সেনাছাউনি রয়েছে। এমন জায়গায় একজন বাংলাদেশি নাগরিক কীভাবে বুথ লেভেল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তা তদন্ত হওয়া উচিত।”

অভিযোগ অনুযায়ী, তপন দাস কাঁকসা ২ নম্বর কলোনির বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ২৭৪-গলসি বিধানসভার ৫৬ নম্বর বুথে উঠেছে (এপিক নং GST2213858)। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি—আসল পরিচয় বাংলাদেশে। নোয়াখালির চর কৈলাশ গ্রামে তাঁর বাড়ি, স্ত্রী লিপি রানী দাস ও মেয়ে পোহেলি রানী দাসের পরিচয়পত্রেও তাঁর নাম ‘তপন চন্দ্র দাস’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, তপন দাস অবৈধভাবে আউশগ্রাম বিধানসভার মৃত এক ব্যক্তির এপিক নম্বর (WB/41/267/519432, ক্রমিক নং ১২৭) ব্যবহার করেছেন। অভিযোগ সামনে আসতেই তপন দাস গা-ঢাকা দিয়েছেন। বুধবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বিজেপির দুর্গাপুর–বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রমন শর্মা কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে তৃণমূলের বুথ এজেন্ট! মৃত ভোটারের এপিক ব্যবহার করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।” বিজেপির দাবি, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হোক। তবে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। কাঁকসা ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্ত বলেন, “বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের অধীন। তাঁর নাম ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে।”

কাঁকসার বিডিও সৌরভ গুপ্তা জানান, বর্তমানে এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ চলছে। ড্রাফট তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ পেলে রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করবেন। প্রয়োজনীয় নথি যাচাইয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “অভিযোগকারীর দায়িত্ব অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণ পেশ করা,” বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনা সামনে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande