
ঝাড়গ্রাম, ২৬ নভেম্বর (হি.স.) : জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার বেসরকারি এক অতিথিশালায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী, বিভিন্ন ব্লক নেতৃত্ব এবং তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো।
পুরসভায় চেয়ারম্যান বদলের পর মনোমালিন্যের জল্পনার মধ্যেই এই বৈঠকের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই চন্দ্রিমার স্পষ্ট বার্তা, “তৃণমূল একটাই দল। কোনও ভাগ নেই। মতান্তর থাকতে পারে, মনোমালিন্য থাকতে পারে, কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”
বৈঠকে সংগঠনের পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার অগ্রগতি বিশেষভাবে আলোচনায় ওঠে। জানানো হয়, ঝাড়গ্রাম জেলায় বর্তমানে ৮২ শতাংশ ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত ১০০ শতাংশে পৌঁছাতে পুরসভা-ব্লকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেন নেতৃত্ব।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, “ঝাড়গ্রামে অনেকের স্মার্টফোন না থাকায় সমস্যা হচ্ছে, বিএলওরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করছেন। তা সত্ত্বেও একশো শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা হতেই হবে। ‘দিদির দূত’ অ্যাপে আপলোড হলে বোঝা যাবে কারও নাম বাদ পড়ছে কি না।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নেতৃত্ব পরিবর্তনের পর ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ, বিজেপির অগ্রগতি রুখে দেওয়া এবং এনুমারেশন নিয়ে সংগঠনকে সক্রিয় করা, এই তিন লক্ষ্যেই বুধবারের বৈঠক ছিল তৃণমূলের পক্ষে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো